পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালেব-কোলে সে সেই যে আসিয়া একখানি চেয়ার লইয়া গৰাক্ষের সম্মুখে বসিয়াছিল, এখনও ঠিক সেইভাবেই বসিয়া আছে। রজনীব পব উষ আসিয়াছিল সে ও এক্ষণে স্তুৰ্য্যেব আলোকে ঢলিয়া পড়িবার উপক্রন করিতেছিল, নরেন্দ্রনাথের তাহাও খেয়াল নাই । সে গবাক্ষের উপর পা দুইটা তুলিয়া দিয়া স্তব্ধ হইয় আকাশেৰ পানে চাহিয়া ছিল । এতক্ষণ পর্য্যন্ত নরেন্দ্রের কেহ খোজ কবে নাই, কিন্তু এইবাব নবেন্দ্রের খোজ পড়িল । কন্যা বিদায়ের সময় উপস্থিত হইয়াছে,— সকলেই কল্যা ও নব জামাতাকে আগশাৰ্ব্বাদ করিতেছিলেন । দেবেনবাব কতা ও জামাতাকে আশাব্বাদ করিতে আসিয়া সৰ্ব্ব প্রথম নরেনের খোজ করিলেন । গুহে সমস্ত আত্মীয় স্বজন উপস্থিত কেবল নরেন নাই । দেবেনবাবু নরেনকে দেখিতে না পাইয়। পত্নীৰ দিকে ফিবিয়া পলিলেন,—“সকলকে দেখতে পাচ্ছি নবেনকে দেখতে পাচ্ছিনে কেন ? নরেন গেল কোথায়,—ডাক তাকে,—সে পঙ্ককে আশীৰ্ব্বাদ কৰ্ব্বে না ?” কাল সমস্ত দিন রাত্রির ভিতর পুত্রের সহিত সাক্ষাৎ হয় নাই । স্বামীৰ কথায় কাত্যায়নীর পুত্রের জন্য প্রাণটাই চঞ্চল হইয়া উঠিল । তিনি তাড়াতাড়ি বলিলেন, “তাওতে বটে । ক’নে জামাই আশাব্বাদ হচ্ছে ; নর বোধ হয় খবব পাইনি, যাই আমি তাকে ডেকে অগনিগে ।” o حكيم l কাতায়নী পুত্রের অনুসন্ধানে গুহ চটতে বাঙ্গর হইলেন !” এ ঘব সে ঘব ঘুরিয়া তিনি নবেন্দ্রনাথেৰ শয়নগৃহে মাসির [ ৩৭ ]