পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে করিতে অসমর্থ হইল। তিনি আর একটু হটলেই ভূপতিত হইতেন,—তাড়াতাড়ি দরজাটা ধরিয়া ফেলিলেন । ক্ৰনদনের স্বধ কৰ্ণে প্রবেশ করিবার সঙ্গে সঙ্গে পঙ্কজিনী গাড়ীর ভিতর মূচ্ছিত হইয় পড়িয়াছিল, কয়েকজন ললনা আসিয়া ধরাধরি করিয়া তাহার মূচ্ছিত দেহ অন্তঃপুরের মধ্যে লইয়া গেল। দেবেনবাবু পলকশ্বন্ত নয়নে কাট হইয়া দাড়াইয়াছিলেন, বৃদ্ধ নায়েব মহাশয়ের স্বর কর্ণে প্রবেশ করায় একটা দীর্ঘনিশ্বাস যেন তাহার হৃদয়ের সবখানি ব্যথা বাহিরে টানিয়া বাহির করিয়া আনিল, তিনি ফ্যালফ্যাল করিয়া নায়ের মহাশয়ের দিকে চাহিতে লাগিলেন, ভাল মন্দ কিছুই জিজ্ঞাসা কবিতে পারিলেন না। নায়ের মহাশয় অতি করুণ স্বরে বলিলেন, “চলুন, বৈঠকখানায় বসবেন চলুন।” দেবেনবাবু নায়েব মহাশয়ের কথার কোন উদ্ভব পারিলেন না, তাহার কণ্ঠ শুপাইয়া কাট হুইয়া গিয়াছিল। তিনি বড় সাধ করিয়া, অনেক দেখিয়া শুনিয়া পঙ্কের বিবাঙ্গ দিয়া ছিলেন, তাহার বড় আশা ছিল পঙ্ক সুখে থাকিবে, কিন্তু বিধাতা বাধ সাধিলেন। এত খোজাখুজি, এত দেখা শোনা, এক লহমায় সব শেষ হইয়া গেল। পঙ্কজিনীব ভবিষ্যৎ জীবনেব কথা সহসা তাঙ্গাব মনে উদয় হওয়ায় তাহার সমস্ত দেহটা যেন ঝিমঝিম করিতে লাগিল। তিনি কোন ক্রমে নায়েব মহাশয়ের পশ্চাৎ পশ্চাৎ ধীরে ধীরে যাইয় বৈঠকখানা গৃহে প্রবেশ করিলেন । তাঙ্গার দাড়াইবার আর মোটেই ক্ষমতা ছিল না, গৃহেব ভিতব প্রবেশ করির [ et j