পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোেেল নিজের দেহের রক্ত দিতে চায় আমরাতে তা নিতে পারিনি মা ! এ ঠাকুরের কাছে বুক চিরে রক্ত দেওয়া নয় মা, এতে জীবনের বিশেষ আশঙ্কা আছে । চল্লিশ তোলা রক্ত যদি কোন মানুষের শরীর থেকে নেওয়া হয় তাহলে সে মানুষ কিছুতেষ্ট বেঁচে থাকতে পারে না। একজনের প্রাণ বিনিময়ে অপরের প্রাণ রক্ষণ কি সম্ভব মা, আর তা সম্ভব হ’লেও রাজার অ{হন ও শুনবে কেন ? এক জমের প্রাণ রক্ষণব জন্তে তার একজনের দেহের রক্ত নিলে রাজাব আইনে গুরুতর অপরাধ হয়,—তাক দণ্ড তো সহজ নয় মা ।” নরেন্দ্রনাথ একটা আকুল দৃষ্টি লইয়া পঙ্কজিনাব সেই উদ্দীপ্ত মুখখানির দিকে চাহিয়া ছিল, সে দেখিল বৈকুণ্ঠেব সমস্ত আলে: আসিয়া সেই মুখখানিকে একেবারে উজ্জ্বল করিয়া তুলিয়াছে। সে মুখখানি স্বগের শত মাধুরীতে মণ্ডিত হইয়া উঠিয়াছে। সে কাতর কণ্ঠে আবার ডাকিল, “পঙ্ক, বোন আমার ;–অবুঝ হ’সনে বোন। তুই আমার চোখের সামনে যে বৈকুণ্ঠের আলো এনে ধরিছিস, তা ফুরিয়ে যাবার আগেই আমার যেন সব শেষ হয়ে যায় । তুই আমার আজ এমন বোন সেই গৰ্ব্বে আমার সমস্ত প্রাণ ফেটে ভেঙ্গে যাবার মত হ’য়েছে। এ সময় তুই বোন অবুঝ হসনে। আমার মা বাপের ভার তোর হাতে দিয়ে চলুম, দেখিস বোন তাদের দেখিস । তুই শান্তিময়ী হয়ে তাদের বুকের ব্যথা ধুয়ে মুছে দিস । আমার মাকে মা ব’লে ডেকে আমার অভাব ভুলিয়ে রাথিস্ ।” নরেন্দ্রনাথের কণ্ঠ শুষ্ক হইয়া আসিল, সে একেবারে নিজীবী ʻ [ > ew ]