পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে রাখিয়াছে। এই শুভ্র পবিত্র কিশোরীর মূৰ্ত্তির দিকে চাহিয়া কবিরাজ মহাশয়েরও দুই নয়ন আৰ্দ্ৰ হইয়া উঠিল। তাহার মৃছ কণ্ঠস্বর অতি মৃদুভাবে বাহির হইয়া আসিল, “ম, আমার যদি শারীরিক একটু পরিশ্রমে সে ঔষধ প্রস্তুত করা সম্ভব হতো, সে পরিশ্রম টুকু কর্তে বৃদ্ধ কখনই কাতর হ’তে না। একটু পরিশ্রম কল্লেই যদি একজন লোক বাচতো, তাহ’লে সেটুকু পরিশ্রম কৰ্ত্তে কখন কোন দিন কি কোন মানুষ বিমুখ হ’তে পারে ? মা তুমি ঠিক আমার কথা বুঝতে পারনি। সে ওষুধ প্রস্তুত কর্তে হ’লে যে অনুপানের প্রয়োজন সে অনুপান সংগ্রহ করা কিছুতেই সম্ভব নয়। সে অকুপান মা পাওয়া যায় না ।” পঙ্কজিনী স্থির দৃষ্টিতে কবিরাজ মহাশয়ের মুখের দিকে চাহিয়া তাহার কথাগুলি শুনিতেছিল, কবিরাজ মহাশয় নীবব হইবামাত্র সে আবার প্রশ্ন করিল, “এমন কি অনুপান যা পাওয়া সম্ভব নয়। একটু চেষ্টা করে খুজলে নিশ্চয়ই তা পাওয়া যাবে। যা টাকা লাগে, যত টাকা লাগে সে জন্তে আপনি চিন্তিত হবেন না ; আপনি দয়া করে সেই অনুপানটা সংগ্রহ করুন। আমার নরেনদাদাকে রক্ষা করুন।” পঙ্কজিনীর কথার একটা মূছ হাসি কবিরাজ মহাশয়ের মুখের উপর ভাসিয়া উঠিল, তিনি ধীরে ধীরে বলিলেন, “মা অর্থ বিনিময়ে সে অনুপান সংগ্ৰহ হয় না। সামান্ত অর্থ ব্যয় কল্পেই যদি সে অনুপান সংগ্ৰহ হ’তে তাহ’লে তা পাওয়া সম্ভব নয় এ কথা বলবো কেন মা । সত্যই সে অনুপান সংগ্রহ করা বড়ই কঠিন । [ eه < ]