পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8SNరి প্রত্যক্ষ হইয়। বর যাচেন শঙ্কর । মাগিল অদিতি বর করি যোড়কর ॥ মম গর্ভে হবে যেই সন্তান উৎপত্তি । ত্রিভুবন মধ্যে যেন হয় মহামতি ॥ নাগ নর সুর আদি প্রজাগতিগণ । সবে পূজা করিবেন তাহার চরণ ॥ স্বস্তি বলি বর তারে দেন শূলপাণি । স্বামীরে কহিল তবে দক্ষের নন্দিনী ॥ আমারে দিলেন বর দেব পঞ্চানন । ত্রিভুবনে রাজ হবে তোমার নন্দন ॥ কশ্বপ বলিলা শিববাক্য মিথ্যা নয় । মহাবলবন্ত হবে তোমার তনয় ॥ ত্রিভুবন মধ্যে সেই হইবেক রাজ । এ তিন ভুবনে লোক করিবেক পূজা ॥ স্বামীর নিকটে কন্যা পাইল সম্মান । কতদিনে অদিতি করিল ঋতুস্নান ॥ স্বামী সহ রতি কেলি কুতূহলে করে । বিষ্ণু অংশে পুত্র আসি জন্মিল উদরে ॥ পরম সুন্দর পুত্র ভূমিষ্ঠ হইল । ইন্দ্র বলি নাম তার মুনিবর দিল ॥ দ্বাদশ আদিত্য তবে জন্মিল বিশেষে । যাহার উদয়ে দিন আপনি প্রকাশে ॥ কত দিনান্তরে তবে দক্ষের নন্দিনী । ঋতুস্নান করিয়া স্বামীরে বলে বাণী ॥ রতি করিলেন মুনি দক্ষের কন্যায় । গর্ভেতে পবন আসি জন্মিল তাহায়ু ॥ . কহিলেন ভাৰ্য্যারে কশ্যপ তপোধন । ত্ৰিভুবন ব্যাপিবেক তব এ নন্দন । ছোট বড় জীব জন্ত আছয়ে যতেক । সৰ্ব্বভুতে হইবেক নন্দন প্রত্যেক । ইহ সম বলবন্ত কেহ ন হইবে । সকল সংসার এই ব্যাপিত করিবে ॥ শুনি, আনন্দিত হৈল দক্ষের নন্দিনী । - স্বৰ্গলোকে চলিলা কশ্যপ মহামুনি ॥ কত ॥দনে নারদ আইল স্বরপুরে । সঙ্কেতে ডাকিয়া মুনি বলিল ইন্দ্রেরে a স্মেরাস্যং হন্দরং স্কন্ধং পিঙ্গাক্ষং পিঙ্গকেশং । [ মহাভারত। তোমার মায়ের গর্তে হবে যেই জন। T জন্মমাত্রে করিবেক জগৎ ব্যাপন । ইহা বলি যথাস্থানে যান তপোধন । বিস্ময় মানিয়া ইন্দ্র ভাবিল তখন ॥ এইক্ষণে না করিলে সংহার ইহারে । জম্মিলে অনেক মন্দ করিবে আমারে : এতেক বিচার চিত্তে বাসব করিল। সূক্ষরূপে জননীর গর্ভে প্রবেশিল । যেইকালে নিদ্রাগত দক্ষের নন্দিনী । সেই গর্ভ কাটিয়া করিল সাতখানি ॥ কাটিলেন পুনঃ একখানি সাতবার। তাহাতে হইল উনপঞ্চাশ প্রকার ॥ চিত্তেতে সানন্দ ইন্দ্র হইল নির্ভয় । কতদিনে প্রসবিল সকল তনয় ॥ ক্রমে উনপঞ্চাশ জন্মিল প্রভঞ্জন । দেখিয়া হইল ইন্দ্র সবিস্ময় মন ॥ অহিংসকে হিংসিয়া পাইলা বড় ভাপ । জন্মিল পবনদেব অতুল প্রতাপ ॥ তবে কতদিনে ইন্দ্র কশ্যপ-নন্দন । গৌতমের স্থানেতে করিল অধ্যয়ন ॥ চারিবেদ ষটশাস্ত্র অধ্যয়ন কৈল । তথাপিও কিছু তার জ্ঞান না জন্মিল। পরম সুন্দরা দেখি গুরুর রমণী । তারে হরিবারে ইচছা করে স্থরমণি ॥ একদিন যান মুনি স্নান করিবারে । দেখে ইন্দ্র গুরুপত্নী এক আছে ঘরে | মদনে পীড়িত হ’য়ে অদিতি-নন্দন । মায়। কার গুরুরূপী হইল তখন ॥ গুরুরূপে গুরুপত্না হরিল দেবেন্দ্র । ক্ষণকাল পরে ঘরে আইল মুনন্দ্রে ৷ স্বামীরে কহিল পরে বিনয় বচন । স্নান করিবারে গেলে করিয়া রমণ ॥ কিরূপে করিয়া স্নান এলে মুহুর্তেকে । ইহার বৃত্তান্ত প্রভু বলিব| আমাকে । এত শুনি মুনিবর ভাবি মনে মন । করিল অধৰ্ম্ম বুঝি কশ্বাপ-নন্দন ॥