পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&#8. র্যাহার মহিমা যশে পুরিল সংসার । মহাধৰ্ম্মশীল ছিল ধৰ্ম্ম অবতার ॥ অনন্তর সূৰ্য্যবংশে রঘুরাজ ছিল । র্যার যশস্তম্ভে সৰ্ব্ব ভুবন ভরিল ॥ অতুল সম্পদ ভোগ করিলা জগতে । নাম মাত্র হিংসা কভু না ছিল মনেতে ॥ এরূপ ছিলেন কত চন্দ্র সূৰ্য্যকুলে । নানা দান নানা যজ্ঞ করিল বহুলে ॥ তব পুত্র দুৰ্য্যোধন হয়েছে যেমন । পৃথিবীতে জন্মে নাহি হেন কোন জন ॥ কপটি হিংসক ক্রুর মহাদুষ্টমতি । ইহার কারণে রাজা হইবে অখ্যাতি ॥ কুলক্ষয় হইবেক লোকে উপহাস । কুযশ ঘোষণা কুলে কলঙ্ক প্রকাশ ॥ সে কারণে বলি নৃপ শুন সবাধানে । দ্বন্দ না করিহ রাজা পাণ্ডবের সনে ॥ ভামের বিক্রম তুমি শুনিয়াছ কাণে । যুদ্ধেতে করিল জয় যক্ষ-রক্ষগণে ॥ হিড়িম্ব কিৰ্ম্মীর আর বক নিশাচর । বাহুবলে সংহার করিল বৃকোদর ৷ ভীম ক্রোধ করিলে না আছে রক্ষা করি । মুহূর্তেকে সাবাকারে করিবে সংহার। অৰ্জ্জুনের যে অতুল প্রতাপ ভুবনে । বাহুযুদ্ধেপরাভব করে পঞ্চাননে ॥ স্নেহ করি ইন্দ্র মারে স্বর্গে নিয়া যান । নানা বিদ্যা অস্ত্ৰ শস্ত্র দিলা শিক্ষাদান ॥ কালকেয় নিবfতকবচ দৈত্যগণ । দেবের অবধ্য রিক্ত প্রতাপে তপন । তাদের মারিয়া শান্তি দিল দেবগণে । কোন বীর যুঝিবেক অর্জনের সনে ॥ উত্তর গোগৃহে ভাই দেখিকু নয়নে । একেশ্বর ধনঞ্জয় সবাকারে জিলে ৷ পরকার্য্য হেতু কারে না মারিল প্রাণে । তথাপিও জ্ঞান না জন্মিল দুৰ্য্যোধনে ॥ আপনার মৃত্যু বুঝি বাঞ্ছিল আপনে । পাণ্ডবের সনে যুদ্ধ ইচ্ছা করে মনে ॥ রক্তনেত্রং রক্তবস্ত্রং রক্ত মাল্যানুলেপনং | এখন যে হিত কহি শুন নরবর। দূত পাঠাইয়া দেহ বিরাটনগর ॥ সম্প্রীতে হেথায় আন পাণ্ডুর কুমার। সেই ইন্দ্রপ্রস্থে পুনঃ দেহ অধিকার ॥ এই কৰ্ম্ম তব প্রিয় দেখি যে রাজন ! দ্বন্দ্ব হৈলে হইবেক সমস্ত নিধন ॥ ধৃতরাষ্ট্র বলিলেন কহিলে প্রমাণ । সম্প্রীতে করিয়া আন পাণ্ডুর সন্তান । যে সত্য করিয়াছিল পাণ্ডুর কমার । ধৰ্ম্মবলে তাহাতে হইল তারা পার ॥ আপনার ভাগ রাজ্য পাইতে উচিত ! দুৰ্য্যোধনে তুমি ভাই বুঝাও স্বনীত । অন্ধ দেখি দুৰ্য্যোধন আমারে না মান ; ধৰ্ম্ম নীতিশাস্ত্র তুমি বুঝাও আপনে ॥ বিছুর বলিল আমি কি বুঝাব নীত । মম বাক্য শুনিলে সে ভাবে বিপরীত ! এখন কহিয়া মম কোন প্রয়োজন । cযবা ইচ্ছা করুক তাহার যাহে মন ॥ এত বলি বিদুর বসিল অধোমুখে । ! : | | ! | | ! I i i ধৌম্য পুরোহিত তবে কহিল রাজাকে মহামত্ত দুৰ্য্যোধন আমি ভাল জানি । [ মহাভারত । صحدك– !. সংগ্রীতে পাণ্ডবে নাহি দিবে রাজধাণী । পূর্বে যেন বলি বিরোচনের কুমার। বাহুবলে পরাজিল সকল সংসার ॥ সম্পদে হইয়া মত্ত ন মানিল কারে । জ্ঞাতি বন্ধুজনে হিংসা কৈল অহঙ্কারে । বলিরে বান্ধিয়া হরি পাতালে রাথিয় । ইন্দ্রকে ইন্দ্রত্ন পুনঃ দিলেন ডাকিয় ॥ সেই হরি পাণ্ডবের সহায় আপনি । র্যাহার প্রসাদে প্রাপ্ত হবে রাজধানী ! এত শুনি জিজ্ঞাসিল অম্বিকানন্দন । কহ শুনি মুনিবর ইহার কারণ ॥ কি কারণে বলি দ্বেষ হৈল স্বরগণে । ইন্দ্র সহ বিবাদ হইল কি কারণে ॥ ধৌম্য বলিলেন তাহা কহিতে বিস্তার । সঙ্ক্ষেপে বলিব কিছু শুন সরোদ্ধার }