৫১৬ s%৫% দীর্থহস্তং দীর্ঘকায় পাশ টাঙ্গালিং। অহিংসকে হিংসে যেই দৈবে তারে হিংসে একচ্ছত্র মহারাজ ছিল ভূমণ্ডলে । চার দোষে বাতি দিতে না থাকিবে বংশে ॥ • · · · - কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধসজ্জা করিতে যুধিষ্ঠিরের অনুমতি ও কুরুক্ষেত্রের উৎপত্তি কথন । জন্মেজয় কছিলেন কহ তপোধন । অতঃপর কি করিল ভাই পঞ্চজন ॥ হেথা দুৰ্য্যোধন রাজা করিল সাজন । তবে কিবা করিলেন পাণ্ডুর নন্দন ॥ কোন কোন রাজা হৈল সহায় তাহার। বল শুনি মুনিবর করিয়া বিস্তার ॥ মুনি বলিলেন শুন নৃপ জন্মেজয় । হৃদয়ে চিন্তিয়। তবে ধৰ্ম্মের তনয় ॥ নিশ্চয় হইবে যুদ্ধ না হয় খণ্ডন । ভ্রাতাগণে ডাক দিয়া কহিল বচন ॥ শুনিলে কি ভ্রাতৃগণ কৌরব কাহিনী । সাজিল পাপিষ্ঠ একাদশ অক্ষৌহিণী ॥ আমাদের পক্ষে যত সুহৃদ সুজন । যুদ্ধ হেতু সবাকারে লিখহ লিখন ॥ ভোজবংশ অন্ধবংশ যতেক রাজন । সেীবল সুমিত্র আদি মাদ্রীর নন্দন ॥ যদুবংশে উগ্ৰসেন আদি রাজগণ । ঘথ যোদ্ধা সবাকারে পাঠাও লিখন ॥ অনুচরগণে আজ্ঞা কর র্শীঘতরে । কুরুক্ষেত্রে গড়খাই কহ এচিবারে । ভক্ষ্য ভোজ্য আদি করি করই সঞ্চার । নানা অস্ত্ৰ শস্ত্র আর বহু উপহার ॥ নৃপতির আজ্ঞামাত্রে হন্দ্রের নন্দন । ডাকিয়া সে ধৃষ্টদ্যুন্নে কহিল তখন ॥ আপনিও যাও তথা বিলম্ব না সয় । কুরুক্ষেত্রে কর গিয়া বিচিত্ৰ আলয় ॥ কুরুক্ষেত্র মহাতীৰ্থ পুরাণে বাখানি । যাহাতে পড়িলে যুদ্ধে পায় দেবযোনি ॥ পূৰ্ব্বপিতামহ মম কুরু নৃপমণি । ব্যসমুখে শুনিয়াছি তাহার কাহিনী ॥ L बशङiब्रङ । করিলেন কুরুক্ষেত্রে নিজ পুণ্যফলে ॥ বলিলেন ধৃষ্টদ্যুম্ন করিয়া বিনয় । ইহার বৃত্তান্ত কহ শুনি ধনঞ্জয় ॥ অর্জন বলেন শুন পূর্বের কাহিনী । মহাধৰ্ম্মশীল ছিল কুরু নৃপমণি ॥ বাহুবলে শাসিল সকল ভূমণ্ডল । একচ্ছত্র রাজা হৈল বলে মহাবল ॥ । নানা দান নানা যজ্ঞ করিল নৃপতি । কুরুরাজগণ যত জগতে বিখ্যাতি ॥ একদিন পিতৃগণ কহিল তাহারে । ংসাশ্রাদ্ধে তৃপ্তি কর আমা সবাকারে : পিতৃগণ-আজ্ঞাকারী শুন কুরুপতি । মৃগয়া কারণে বনে গেল শীঘ্ৰগতি ॥ মারিল অনেক মৃগ অরণ্য ভিতর । আগু বাড়ি পাঠাইল নৃপ বহুতর ॥ মৃগয়ান্তে শ্রান্ত বড় হইল রাজন । জল অন্বেষিয়া রাজা ভ্ৰমিলেন বন } জল নাহি পান রাজা হইয়া দুঃখিত । দণ্ডক কাননে রাজা হৈল উপনীত ॥ মুনির আশ্রম সেই অপূৰ্ব্ব কানন । মনুষ্য-অগম্য স্থল অতি স্থশোভন ॥ আছে দিব্য সরোবর বনের ভিতরে । দেবকস্তাগণ তাহে নিত্য কেলি করে : সেই সরোবরে রাজা হন উপনীত । সরোবর দেখিয়া পাইল বড় প্রীত ॥ বহুরূপ নামে কন্যা দেবের নৰ্ত্তনী । রূপেতে কনকলতা খঞ্জননয়নী ॥ মুখরুচি শত শশী করিয়াছে শোভা । ওষ্ঠস্থল অতুল বন্ধুক পুষ্প আভা ৷ শুকচঞ্চু জিনি নাসা জিনি তিলফুল । কামের কামান ভুরু কিবা দিব তুল । দেখিয়া কন্যার রূপ মোহিত রাজন । ক্ষুধা তৃষ্ণ পাসঙ্গিল কামে অচেতন ॥ নিকটে যাইয়া রাজা কহিল কম্বারে । নিজ পরিচয় তুমি কহিৰে আমারে । --
পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/৫২৪
অবয়ব