পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$నీ कांबैौनांथ কিছুই ‘তবুও’ নাই। বস্তুতঃ আমার সম্পত্তিতে অধিকার কি ? বরং আমাকে অৰ্দ্ধেক দিয়ে গেলেই আশ্চৰ্য্য হবার কথা ছিল বটে ; আর ও আমাকে অৰ্দ্ধেক দেওয়াও যা, তাকে সমস্ত দেওয়াও তাই । কিছু প্ৰভেদ আছে কি ? দেওয়ান এবার বিলক্ষণ অপ্ৰতিভ হইলেন। শুল্কমুখে বলিলেন, না না, প্ৰভেদ কিছু নাই, আমি শুধু কৰ্ত্তামশায়ের কথা বলছিলাম। র্তার অভিপ্ৰায় আমি অনেক জানতাম, এই জন্যই এ কথা বলছিলাম । তিনি র্তার কৰ্ত্তব্যই করেছেন। ভেবে দেখুন স্ত্রীর স্বামী ভি গতি নাই, কিন্তু স্বামীর স্ত্রী ভিন্ন অন্য গতি আছে। আমি দরিদ্র ; একেবারে অতটা বিষয় নিজ হাতে পেলে হয়ত কুফল ফলতে পারে, এই আশঙ্কায় বোধ হয়। পূর্বের উইল বদলিয়ে গিয়েছেন। বৃদ্ধ দেওয়ান মহাশয় কাশীনাথকে বরাবর পণ্ডিত-মুখ টুলো ভট্টাচাৰ্য্য মনে করিতেন ; তাহার মুখে এরূপ বুদ্ধির কথা শুনিয়া ধন্যবাদ না দিয়া থাকিতে পারিলেন না । এইরূপে বুদ্ধ দেওয়ান উত্তরোত্তর কাশীনাথের বিজ্ঞতার যত পরিচয় পাইতে লাগিলেন, অন্যদিকে কমলার উত্তরোত্তর ও তত অজ্ঞতার পরিচয় পাইতে লাগিলেন । দিনের মধ্যে শতবার সে আপনাকে প্রশ্ন করে, ইনি কেমনতর মানুষ ? শতবার বিফল প্রশ্ন শুল্কমুখে ফিরিয়া আসিয়া কহে, বুঝিতে পারি না। সহস্র পরিশ্রমে সহস্ৰ চেষ্টায় কমলা কিছুতেই স্থির করিতে পারে না, এই দুই-হাত-পা সমন্বিত মানুষটা কিসে নিৰ্ম্মিত । মনটা তাহার নিজের শরীরের ভিতর রাখিয়াছে, না। আর কাহারও কাছে জমা দিয়া আসিয়াছে ? সে দেখে, সকলে যাহা করে, তাহার স্বামীও তাহাই করে । আহার করে, নিদ্রা যায়, জমিদারীর কাজ-কৰ্ম্ম, সংসারের কাজ-কৰ্ম্ম সমস্তই করে, সমস্ত বিষয়ে যত্নশীল, অথচ সমস্ত বিষয়েই উদাসীন । কি যে তাহার স্বামী ভালবাসে, কিসে যে তাহার অধিক সম্পূহ, এতদিনেও কমলা তাহ ধরিতে পারিল না। কমলার অসুখের সময়ে কাশীনাথ আনিমেষচােখে দিবা-রাত্রি তাহার শয্যাপার্শ্বে বসিয়া থাকিত ; সে মুখে কাতরতা,