Է, օ Հ গুরু সন্নিধানে । বিজয় ।–“ সত্য, কিন্তু আমি নিৰ্ব্বোধ, ਬਿਰ হৃদযু কপটতাপূর্ণ, স্বভাব কুটিল ; আমার কি তেমন অকপট হৃদয়ে অনুতাপ করিবার ক্ষমতা আছে ? তাহা যদি থাকিত তবে এত দুঃখ পাইতাম না।” - - যোগী -“ বৎস! তুমি নিৰ্ব্বোধ নহ। তবে, অবিশ্বাসীর কথায় বিশ্বাস করিয়া নিৰ্ব্বোধের ন্যায় কাৰ্য্য করিয়াছ, তাই এত কষ্ট পাইতেছ। অবিশ্বাসীকে বিশ্বাস করা সে কেবল আপনার সর্ব্বনাশ কামনা মাত্র । অসজ্জনকে ভাল বালিলে, অপাত্রে দান করিলে, দুঃখভিন্ন সুখ নাই, পাপ ব্যতিরেকে পুণ্য নাই। এজন্য মহাত্মারা বলিয়াছেন যে, পাত্ৰাপাত্র বিবেচনা করিয়া দান করিবে । আসতের মায়াসু মুগ্ধ হইবে না, শঠের পরামর্শ শুধিবে না। আপন কাম্যের প্রতি লক্ষ্য রাখিবে ।” বিজয় ।–“ শুরুদেব ! আমার ঐ সকলই ঘটয়াছে, আমি আপন কয্যের প্রতি লক্ষ্য না রাখির অসাবধান বুকুত: 'সৰ্ব্বশ্ব হারাইলাম ।” যোগী।–“ সত্য তুমি অসাবধান, ঠাপনার কাৰ্য্যে লক্ষ্য কর না। কিন্তু সেই অসাবধানের কার্য্যই সাবধানের মূল । অসাবধানত মনুষ্য মাত্রেই অাছে, তাই বলিয়া কি હઃ বারে অসাবধানদোষে মহতের মহত্ব যায় ? কারণ এক দিনের তপন তাপে কি জলাশয় শুদ্ধ হয় ? মা একদিনের বৃষ্টি জলে তাহ পূর্ণ সলিলা হয় ? না, কখনই নয় ।”
