কিরণ মালা । Հ: দিনের পর অযুদ্দেশা জননীর সাক্ষাৎ পাইলেন, ইহা কত মানদের বিষয় কিন্তু বিপদ সে আনন্দের প্রতিবাদী, শরচ্চন্দ্র কি যে করিবেন কিছুই ভাবিয়া স্থির করিতে পারিতেছেন না। শেষে “বিপদি ধৈর্য্যম্’ এই কথাটি স্মরণ করিয়া সুধীর শরচ্চন্দ্র, জননীর হস্ত ধরিয়া উঠাইয়া কহিলেন – মা ! ধৈৰ্য্য ধরুন, উনি এখনও জীবিত . আছেন, আপনার এ অধম সস্তান সাধ্যমতে মাস্টীমার জীবন রক্ষার্থে চেষ্টা করিবে, তাহাতে বিন্দুমাত্র ও ক্রটি হইবে না । সাবিত্ৰী শরচ্চত্রের আশ্বাস বাক্য শুনিয়; কিঞ্চিৎ শান্ত হইলেন, পুত্রের শরণ ঘন করিলেন। শরচ্চন্দ্র সমূহ যত্ন সহকারে আত্মঘাতিনীর শুশ্ৰুষা করিতে লাগিলেন । যখন দেখিলেন অনেক পরিমাণে জীবন পাইবার আশা হইল, তখন সকলকে বটা লইয়া যাইবার জন্য উপক্রম করিতে লাগিলেন । পাঠি কাকে এখন বালিকার পরিচয় দিতে পারিলাম না, কিন্তু, আত্মঘাতিনীর পরিচয় দিব । সে কে ? সে দুর্ভাগিনী মধুমতি । পোড়া লৌকিকের উৎকট উৎপীড়নে মধুমতি মরিতে আলিমুড়েন ; তাই বলিয়া কি মরিতে পরিবে ? তবে সে যন্ত্ৰ Wছু ধৰ্ম্ম রক্ষা করিয়াছিলেন কেন ? ধৰ্ম্ম কি তাহাকে রক্ষা করবেন না ? অবশ্যই করিবেন । ধৰ্ম্ম ত আর নহেন । ধৰ্ম্ম আপনি আসিয়া তাহাকে “যে ধৰ্ম্মকে রক্ষা করে, ধৰ্ম্ম চাহাকে রক্ষ।
