পাতা:কিরণ মালা (নবীন কালী দেবী).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপত্নী দ্বেষ-ভগ্ন মন্দিরে। טיל মদ্য পায়ীর কথায় অপমান বোধ করির জীবন পৰ্য্যন্ত ত্যাগ করিতে প্রস্তুত হইয়াছ । যাহার যেরূপ স্বভাব, সে পরকেও সেই রূপ ভাবে ; তাই বলিয়া কি সজ্জন তাহার কথায় আস্থা করিবে ? কখনই না । প্রশংসা মহতে করুক, নিন। কুজনে করুক, অসতের মতানুযায়ী কাৰ্য্য না করিলেই সে নিন্দ করিবে; অতএব দুষ্টের অপ্রিয় হওয়াই ভাল। এক্ষণে মধুমতি! আর দোষগ্রাহী দুষ্টের কথায় অভিমান করো না, গুণ গ্রাহী মহতের আশ্রয় লও ; মহতের অনেক গুণ যথা – “দোষ দৃষ্টে তবু সাংরাখেন গোপনে । অদৃষ্ট তথাপি দুষ্ট রটায় যতনে ৷” মধুমতী রাত্ৰিতে যে মৃতবৎস হুষমার সহিত বাটীর বাহিরে গমন করিয়া ছিলেন, সে দুষ্ট। নিজের দোষ গোপন করিবার জন্য বলিয়াছে – “মধুমতী আমাকে ডাকিয়া লইয়। গিয়াছে । মধুমতী ভগিনীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে নিতা রাত্রে এই ভগ্ন মন্দিরে আসিতেন, লোকে এই গুপ্ত বিবরণ ন জানিয়াই ভাবিত, হয়ত সে দুষ্টভিপ্রায়ে যায়। অদ্য সেই ঘূণায় মধুমতী মরিতে আসিয়াছিল, আশিরার কালীন শরচ্চন্দ্রকে বলিয়। আসিয়াছিল যে,—“তুমি ঐ শিরমন্দিরে যাই ও তোমার মাতার সাক্ষাৎ পাইবে।” সেই জন্য শরচ্চন্দ্র আসিয়াছিলেন। এক্ষণে তিন জনকেই সমভিব্যাহারে ভবনা ভিমুখে গমন করিলেন । হুবর্ণপুর শরচ্চত্রের মা ভুললায় ।

ക്കു-l.