পাতা:কিশোর (দ্বিতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিশোর সাহস তাহার হইল না-বিন্দুবাসিনী কি তাহাতে সম্মতিদান করিবে! শশীর মনের দুঃখ মনেই জাগিয়া রহিল। এদিকে রতিকান্ত কলিকাতায় যাইয়া উপস্থিত হইল । তাহাদের প্রতিবেশী হরিশ ঘোষাল কলিকাতায় এক বড়মানুষের বাড়ী সরকারী করিতেন। বাড়ীতে র্তাহার স্ত্রী ও মাতা ছিলেন । রতিকান্ত অনেক সময় ঘোষাল মহাশয়ের পত্ৰ আসিলে তাহা পড়িয়া “দিত এবং তাহার স্ত্রী বা মাতা কলিকাতায় পুত্রের নিকট যে চিঠিপত্ৰ লিখিতেন, রতিকান্তই তাহা লিখিয়া দিত। এই কারণে রতিকান্ত ঘোষাল মহাশয়ের ঠিকানা জানিত। রতিকান্ত পূর্ব হইতেই মনে স্থির করিয়াছিল যে, সে কলিকাতায় যাইয়া প্ৰথমে হরিশ ঘোষালের বাসাতেই উঠিবে এবং সেখানে থাকিয়া চারিদিকে চেষ্টা দেখিবে । হরিশ ঘোষাল অবশ্যই পাঁচ সাত দিনের জন্য তাহাকে আশ্রয় প্ৰদান করিতে অস্বীকার করিবেন না । শশী সরকারের কিন্তু হরিশ ঘোষালের কথা মনে হয় নাই ; সে মনে করিয়াছিল, রতিকান্ত কলিকাতায় যাইয়া দেশের ছাত্রদিগের কাহারও মেসে আশ্ৰয় লইবে, তাই সে হরিশ ঘোষালকে পত্র লেখার প্রয়োজন মনে করে নাই । রতিকান্ত পাড়া গেয়ে ছেলে হইলেও সে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছে, সে যে কলিকাতায় আসিয়া وموا