পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ণমর্দন-কাহিনী “পণ্ডিত জাতিতেও বড় কম নহেন-তিনি মৎস্যজীবী,-“জেলে ইতি ভাষা” । স্কুলের সম্পাদক মহাশয় বোধ হয়, বহু অনুসন্ধান করিয়া এমন শ্রুতি-সুখকর নামধারী কুলীন পণ্ডিত আনিয়াছিলেন । আমাদের মধ্যে কেহ কেহ তাহার নাম রাখিলেন,-"হরিবোল", আবার কেহ নাম রাখিলেন-‘জলিঘোলা পণ্ডিত'। আমি অবশ্য এই সকল তামাসা খুব উপভোগ করিতাম, কিন্তু নিজে কখন "হরিবোল” বা “জলঘোলা পণ্ডিত’ বলিয়া তাহার অসম্মান করি নাই । আমাদের এই পণ্ডিত মহাশয় ইতঃপূর্বে আর কোথাও পণ্ডিতি করেন নাই ; নৰ্ম্ম্যাল স্কুল হইতে বাহির হইয়াই আমাদের স্কুলে আসিয়াছিলেন ; সুতরাং পাঠ্যাবস্থার কাজ তখনও তাহার ষোল আনা ছিল। আমাদের হেড পণ্ডিত মহাশয় গণিত-শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন না ; তাই গণিত শিক্ষাদানের ভার দ্বিতীয় পণ্ডিত মহাশয়ের উপরই থাকিত । আমাদের হরিবোল পণ্ডিত মহাশয়ও সেই ভার প্রাপ্ত হইলেন । তিনি প্ৰথম দুই একদিন বোধ হয়, আমার গণিত-জ্ঞানের দৌড় বুঝিতে পারেন নাই। তাহার পরই, আমার বিদ্যা তাহার নিকট প্ৰকাশ পাইল। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি, অথচ মিশ্র ব্যবকলনের অঙ্ক কষিতে পারি না, সমকোণের সংজ্ঞা Գֆ