পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিশোর “Mammonsuminimuma পারিতাম না ; গালাগালি আমার অঙ্গের ভূষণ হইয়াছিল। তবে ইহার মধ্যে আরও একটি কথা ছিল। আমি বাঙ্গালা সাহিত্য ভাল জানিতাম, ক্লাসে উক্ত বিষয়ে সর্বপ্ৰধান ছাত্র ছিলাম ; সেই জন্য হেড পণ্ডিত মহাশয় আমাকে বড়ই ভাল বাসিতেন । হেড পণ্ডিত মহাশয়ের প্ৰিয়পাত্র ছিলাম বলিয়া অন্য কোন শিক্ষক আমাকে কিছু বলিতে সাহস পাইতেন না । প্ৰতি বৎসর পরীক্ষায় আমি অঙ্কে একেবারে শূন্য পাইয়া “ফেল’ হইলেও আমার প্রোমোসন বন্ধ থাকিত না। এমনই করিয়া আমি তৃতীয় শ্রেণীতে উঠিয়াছিলাম। আমার দুর্ভাগ্য, কি সৌভাগ্যবশতঃ সেই বৎসর আমাদের দ্বিতীয় পণ্ডিত মহাশয় পর পর তিনবার ‘ফেল’ হইবার পর মোক্তারী পরীক্ষায় উত্তীণ হইলেন । তিনি যখন আমাদের বাঙ্গালা স্কুলের মায়া কাটাইয়া মহকুমার কাছারীর বটবৃক্ষতলে আশ্রয় গ্ৰহণ করিলেন, তখন আমাদের যিনি দ্বিতীয় পণ্ডিত হইয়া আসিলেন, তাহার নাম হরিবোলা দাস । হরিবোলা নাম শুনিয়াই ত আমরা হাসিয়া অস্থির । আমাদের ক্লাসের মোহিত ভারি দুষ্ট ছেলে। সে “হারিবোলা” নাম শুনিয়াই এক ছড়া বঁধিল :- “হরিবোলা, তেঁতুল গোলা, চোেট তোলা।” তাহার পর আমরা জানিতে পারিলাম যে, হরিবোলা ae