পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬]
কুরু পাণ্ডব
৯৭

প্রতি প্রসন্ন হইয়াছি। তুমি অবিচলিতচিত্তে শত্রুমধ্যে অশ্বচালনা করিও।

 এই বলিয়া অর্জ্জুন স্ত্রীবেশ পরিহারপূর্ব্বক সেই আয়ুধের সঙ্গে রক্ষিত বর্ম্ম ধারণ ও শুক্লবসনে কেশ আচ্ছাদন করিলেন; পরে অস্ত্রসমুদয় ও গাণ্ডীব গ্রহণ করিয়া অতি ভীষণ ধনুষ্টঙ্কার ও লােমহর্ষণ শঙ্খধ্বনি করিতে করিতে কৌরবদের দিকে রথচালনা করিতে বলিলেন। তখন দ্রোণাচার্য্য কহিতে লাগিলেন—

 হে কৌরবগণ! যখন ইঁহার রথনির্ঘোষে বসুমতী বিকম্পিত হইতেছে, তখন ইনি নিশ্চয়ই অর্জ্জুন হইবেন।

 দুর্য্যোধনও কিঞ্চিৎ শঙ্কিত হইয়া কহিতে লাগিলেন—

 পাণ্ডবগণ নির্দ্ধারিত ত্রয়ােদশ বৎসর উত্তীর্ণ হইয়াছেন কি না, তা নিঃসংশয়রূপে জ্ঞাত হওয়া কর্ত্তব্য। কিয়দ্দিন অবশিষ্ট আছে বলিয়া সকলের ধারণা ছিল, কিন্তু আমার এক্ষণে সন্দেহ হইতেছে। স্বার্থচিন্তার সময়ে লোকের ভ্রমে পতিত হওয়া বিচিত্র নহে। তবে পিতামহ গণনাদ্বারা প্রকৃত অবস্থা জ্ঞাত হইতে পারেন। কিন্তু সে যাহাহউক আমি ত ভীত হইবার কোনো কারণ দেখিতেছি না। এ ব্যক্তি কোন মৎস্যবীরই হউক বা মৎস্যরাজই হউক বা স্বয়ং ধনঞ্জয়ই হউক যুদ্ধ করিতেই হইবে, ইহা আমি প্রতিজ্ঞা করিলাম।

 সকলে সজ্জিত হইয়া অর্জ্জুনের আগমন প্রতীক্ষা করিতেছেন, এমন সময়ে দ্রোণাচার্য্য বহু কাল পরে প্রিয়