পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
কুরু পাণ্ডব

অর্জ্জুনের সহিত কৃষ্ণার বিবাহ হয়, ইহাই তাঁহার চিরকাল ইচ্ছা ছিল।

 তখন যুধিষ্ঠির ভীমকে পুরােহিতের পাদ্য এবং অর্ঘ্য প্রদান করিতে বলিয়া কহিলেন—

 পাঞ্চালরাজের মনােরথ সিদ্ধ হইয়াছে! অর্জ্জুনই তাঁহার দুহিতাকে জয় করিয়াছেন।

 এইরূপ কথাবার্ত্তা হইতেছে, এমন সময় দ্রুপদপ্রেরিত কাঞ্চনপদ্মখচিত সদশ্বযুক্ত রাজোচিত রথদ্বয় এবং বিবিধ উৎকৃষ্ট খাদ্যদ্রব্য লইয়া আর এক দূত উপস্থিত হইয়া বলিল—

 মহারাজ পাঞ্চালাধিপতি দ্রৌপদীর পাণিগ্রহণার্থে আপনাদিগকে প্রাসাদে সাদর আহ্বান করিতেছেন; অতএব আর বিলম্ব করিবেন না।

 এই কথা শ্রবণে পুরােহিতকে অগ্রে বিদায় দিয়া পৃথা ও কৃষ্ণাকে এক রথে আরােহণ করাইয়া ভ্রাতৃগণ অপর রথ অবলম্বনপূর্ব্বক রাজ প্রাসাদাভিমুখে যাত্রা করিলেন।

 অজিনোত্তরীয় পুরুষপ্রবীর পাণ্ডুতনয়গণকে দেখিয়া রাজা, রাজকুমার, সচিব, সুহৃদ্‌বর্গ এবং ভৃতগণ আনন্দপ্রবাহে নিমগ্ন হইলেন। কুন্তী দ্রৌপদীর সহিত অন্তঃপুরে প্রবিষ্ট হইয়া স্ত্রীগণদ্বারা উপযুক্তরূপে সৎকৃত হইলেন।

 অনন্তর কুন্তী ও দ্রৌপদীকে অন্তঃপুর হইতে আনয়নপুর্ব্বক দ্রুপদ সকলের সমক্ষে যুধিষ্ঠিরকে বলিলেন―

 অদ্য শুভদিন, অতএব অর্জ্জুন অদ্যই কৃষ্ণার পাণিগ্রহণ করুন।