পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু ! একটু মাত্র উনিশ বিশ হইলেই কন্যার জীবন একেবারে মরুময় হইয়া ভিতরে ভিতরে পুড়িয়া চিরদিনের মত ছাই হইয়া যাইবে । কিন্তু তিনি স্ত্রীলোক, তিনি কেমন করিয়া এই গুরু দায়িত্বভার নিজের মস্তকে তুলিয়া লইতে পারুেন ? যাহার ভার । তিনিতো তাহাকে অকুল পাথরে ভাসাইয়া চিরদিনের মত চক্ষু মুদিয়াছেন, এখন তিনি কেমন করিয়া এ দায়িত্ব হইতে উদ্ধার হইবেন। ভাবনার প্রবল উচ্ছাসে। তঁহার নয়ন ফাটিয়া অশ্রু ঝরিয়া পড়িল । তিনি একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়। মনে মনে বলিলেন, “তোমার, যে বড় আদরের পুষ্পের বিয়ে, তুমি আজ কোথায় ! যার শক্তি নেই, তার উপরে কেন এ গুরু দায়িত্বভার চাপিয়ে গেলে |’ অখিলচন্দ্ৰকে পুষ্পের বিবাহ করিবার ইচ্ছা আছে কি না। তাহা আগে জানিতে পারিলেও তিনি কতকটা নিশ্চিন্ত হইতে পারিতেন, কিন্তু নানা ভাবে কন্যাকে লক্ষ্য করিয়া ও তাহার বিন্দুবিসর্গও জানিতে পারেন নাই । বিবাহ একেবারে মাথার উপর আসিয়া পড়িয়াছে, আর না। জানিলেও নয়, তাই তিনি আজ কন্যাকে স্পষ্ট সেই কথাটা জিজ্ঞাসা করিবার জন্যই ডাকিয়া পঠাইয়াছেন। পুষ্প আসিয়া গৃহের ভিতর প্রবেশ করিল। কন্যার সরল সুন্দর মুখখানির উপর দৃষ্টি পড়ায় কমলরাণীর সমস্ত প্ৰাণটা যেন আবার উথলিয়া উঠিল। পতি পত্নীর মধুর প্রেম, মুক্তি ধারণ করিয়া উভয়ের মধ্যে দাড়াইয়া, যাহা হইতে ধরার গায়ে চির স্মৃতি অঙ্কি: করিয়া দেয়, তাহার মুখের দিকে চাহিলে পুরান দিনের কত কথা Z እS ዓ