পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু । জাগিয়া উঠে। কমলরাণী কন্যার মুখের দিকে চাহিতে পারিলেন না। মস্তক অবনত করিলেন । পুষ্প কক্ষের ভিতর প্রবেশ করিয়া মায়ের মুখখানি আজ বড় মলিন লক্ষ্য করিয়াছিল । সে ধীরে ধীরে আসিয়া মায়ের সম্মুখে বসিল,-দুই হস্তে জননীর কণ্ঠ বেষ্টন করিয়া অতি কোমলস্বরে জিজ্ঞাসা করিল, “কি ভাবিছ মা ?” কন্যার কথার উত্তরে কমলরাণী কেমলমাত্ৰ বলিলেন, “কি ভাববো। আবার ?” পুষ্প মৃদুস্বরে বলিল, “তবে মা তোমার মুখখানি এত চুন কেন ? কমলরাণী মৃদু হাসিবার চেষ্টা করিলেন। কিন্তু তঁাহার মলিনমুখের মলিন হাসি আরও বিষাদ হইয়া গেল, তিনি ধীরে ধীরে বলিলেন, “তোর বিয়ে হবে. তুই শ্বশুর বাড়ী চলে যাবি-তোকে ফেলে একলা কি করে থাকবো।--তাই ভাবছি।’ পুষ্প মৃদু হাসিয়া বলিল, “কোন মা, আমারতে শ্বশুড়বাড়ী যেতে হবে না । ছোট দিদি যে বললে, আমার শ্বশুরের বাড়ী ঘর কিছুই নেই।” কন্যার কথায় কমলরাণীর প্রাণটা যেন বিদীর্ণ হইবার মত হইল,-তিনি অশ্রুপূর্ণ নয়নে কম্পিত্যকণ্ঠে বলিলেন, “শ্বশুর বাড়ী নেই কি রে ? শ্বশুরবাড়ী আছে বই কি, তবে সে তেমন ভাল নয়। তা হক-তবু সে যে তোর শ্বশুর বাড়ী-শ্ৰীক্ষেত্রের চেয়েও পুণ্যক্ষেত্র-কাশীর চেয়েও পবিত্র । একবারও কি আর সেখানে যাবি নি ?’ ○br