পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰয়োদশ পরিচ্ছেদ । عر سبیحاللهیه == রয়েদের বাটী হইতে ফিরিয়া আসিয়া আজি কয়েকদিন ধরিয়া নানাদিক দিয়া নানাভাবে চিন্তা করিয়া ও গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তী রায় মহাশয়ের কথাগুলার কোন অর্থ ইত্ব নিম্পত্তি করিতে পারিল না । এক পক্ষের আশীৰ্ব্ববাদ হইয়া গিয়েছে, বিবাহের জিনিসপত্র খরিদের আর বিশেষ কিছু বাকী নাই । তথাপি গৌরীশঙ্কর রায়ের মুখে এ কি কথা ! “আমি যখন রতন বোসের কন্যাকে রায়েদের কুলবধূ করিব স্থির করিয়াছি, তখন তাহাই আমার শেষ স্থির।” এ বেয়াড়। স্থিরের অর্থ কি ? কিন্তু কালু সর্দারের বিকট চেহারাট। তাহার চক্ষের সম্মুখে ভাসিয়া উঠায় তাহার যেন ভিতরটা একেবারে শুকাইয়া উঠিল । সঙ্গে সঙ্গে রায় মহাশয়ের কথা গুলার অর্থ যেন তাহার চক্ষের সম্মুখে বেশ পরিাস্কার হইয়া আসিল । সে চির ভীত, নিরীহ ব্ৰাহ্মণ, ঘটকালি করিয়া খায়, ফৌজদারীর মাঝে যাইতে একেবারেই নারাজ ! পেটের অপেক্ষা প্ৰাণের মূল্যাটা যে অনেক অধিক বেশী, তাহ গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তী এত বয়স হওয়া সৰ্বেও একেবারেই ভুলিতে পারে নাই। অনেক দূর অগ্রসর হইয়াছে, এখন আর ফিরিবার উপায় নাই, অনেক দিনের সাধ তাহার পূর্ণ হওয়ায় যে উৎসাহ, যে আনন্দ লইয়া সে বোসেদের বিবাহটায় নামিয়াছিল, গৌরীশঙ্কর রায়ের