পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कूक,-दक्षूि । কথাটা শুনিবার পর হইতে তাহার সে আনন্দ, সে উৎসাহ একে-- বারে নিবিয়া গিয়াছে । আক্ত দুই দিন হইল সে আশীৰ্ব্বাদের দিন স্থির করিতে কলিকাতায় গিয়েছিল । কলিকাতার গোলযোগের ভিতর পড়িয়া সে অনেক কথাই ভুলিয়া গিয়াছিল । কিন্তু গ্রামে ফিরিবার সঙ্গে সঙ্গেই আবার গৌরীশঙ্কর রায়ের কথা গুলা তাহার মনের ভিতর উকি মারিতে লাগিল । সে যখন পাক। দেখার পাকা খবরটা লইয়। বোসেন্দের বাড়ী উপস্থিত হইল, ৩খন তাহার মনের অবস্থা একেবারেই শোচনীয় । বে। সেদের বৈঠকখানা গৃহে কয়েকজন ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিত পরিাষ্টিত হইয়। তারিণীচরণ ধুমপান করিতেছিলেন । পণ্ডিতগণের সকলের হস্তেই এক একটা থেলে হুক। সকলেরই নাক মূখ হইতে চাপ চাপ পুম। বাহির হইয়। সমস্ত গুহাটা ধামাচ্ছন্ন করিয়া বে ফেলিয়াছিল । বোধ হয়, তথািষ বিবাহের লগ্নের সময়টা নিরূপণ করা হইতেছিল। গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীকে গৃতের ভিতর প্ৰবেশ করিতে দেখিয়া তারিণীচরণ বাস্ত হইয়। বলিল, “আমি এতক্ষণ তোমার কথাই ভাবছিলোম ! আশীব্বাদের দিনটা একেবারে পাকা করে এসেছে তো ?’ চক্ৰবৰ্ত্তীর মনে সুখ না থাকিলেও অভ্যাসমত কণ্ঠ হইতে বাহির হইল, চক্ৰবন্ত্রী যে কাজে হাত দেয়, তা কি আর পাকা না হয়ে যায়। পাত্রের মাতুল আগামী রবিবারেই আসছেন । চক্ৰবৰ্ত্তী নীরব হইলে তারিণীচরণ আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে কে আসবে, কিছু খবর পেলে ?” OS