পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ । a-apoOagsase গৌরীশঙ্কর রায় যে কোন দিন মিত্র ছিলেন, তাহ রামজীবনপুরের অন্যান্য লোক কেন, তঁহার অতি নিকট আত্মীয়রাও বিস্মৃতি হইয়াছিল। নবাবী আমলের খেতাপ রায়টা যেন মিত্ৰকে একেবারে স্থানচ্যুত করিয়া তাহার সিংহাসন রীতিমত দখল করিয়া লইয়াছিল। মিত্রের স্মৃতি পৰ্য্যন্ত লুপ্ত করিয়া খেতাপ রায়ই যেন এক্ষণে গৌরীশঙ্করের পদবী হইয়া দাড়াইয়াছে। সকলে ভুলিলেও এ কথাটা কমলরাণী ভুলিতে পারেন নাই। তঁহার না ভুলিবার একটা বিশেষ কারণ ছিল,-সেই কারণটাই এক্ষণে বলিব । গৌরীশঙ্কর রায় কমলরণীর সহিত অখিলচন্দ্রের পিতার বিবাহই স্থির করিয়াছিলেন,--এমন কি দুই পক্ষেই আশীৰ্বাদ পৰ্য্যন্ত হইয়া গিয়াছিল। কিন্তু একটুখানি কথার মারপ্যাচে সামান্য মাত্র উনিশ বিশ হওয়ায় তিনি রায়েদের কুলবধূ না হইয়া বোসেদেৱ গৃহে আসিয়া পড়িয়াছিলেন । অনিন্দ্যসুন্দরী কমলরাণীর মুক্তি দেখিয়াই রায় মহাশয় অতি সামান্য অবস্থাপন্ন গৃহস্তের গৃহেও পুত্রের বিবাহ দিতে স্বীকৃত হইয়াছিলেন। বিবাহের সমস্তই স্থির,-সহসা গৌরীশঙ্কর রায় কমলরাণীর পিতাকে বলিয়া পাঠাইলেন যে, তাহার Yo