পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ । ডান হাতখানা বাড়াইয়া দিয়া বলিল,-“ছোটবাবু যথার্থ কথাই বলেছেন। নিজের টাকা খরচ করে কি আর সুখ আছে, সুখতো পরের টাকা খরচ করে। তা ছোটবাবু এক কাজ করুন না। কেন-কাল থেকে “রাণীগড়ে” মাছ ধরতে যান। পাঁচিশটা টাকা খরচ করে এক মাসের জন্য পাস করুন,-মাছ ধরে আরাম পাবেন। বড় বড় রুই, কাতলা, মিরগেল বাঙাচির মত কিলবিল কচ্ছে ।” রামজীবনপুরে দুই ঘর জমিদারের বাস । দুই ঘরেরই সমান প্ৰতিপত্তি, কেহ কাহারও ‘ অপেক্ষ। খাটো নহেন। এক ঘর রায় ও অপর ঘর বসু । বসু বংশের রতন বোস একটিমাত্ৰ কন্যা রাখিয়া মার। যাওয়ায়, তাহার সমস্ত জমিদারী এক্ষণে ঊর্তাহার বিধবা। পত্নীর হস্তে রহিয়াছে। বাসুদিগের প্রকাণ্ড অট্টালিকার পশ্চাতে একটা প্ৰকাণ্ড দীঘি আছে। এই দীঘিন্টার নাম “রাণীগড়”,-রাণীগড় বাসুদিগের সম্পত্তি । বৎসরে কয়েক মাস সকলকেই এই দীঘিটায় মাছ ধরিবার জন্য পাস বিতরণ করা হয় । " মাছের জন্য এই দীঘিটা প্ৰসিদ্ধ-এত মাছ এ অঞ্চলে আর কোন পুকুরেই নাই। কেবল পাস বিতরণ করিয়া বৎসরে এই দীঘিটা হইতে বাসুদিগের তিন চারি শত টাকা আয় হয়। রাণীগড়েয় নাম শুনিয়া রায় মহাশয় রসিকমোহনকে জিজ্ঞাসা করিলেন,-“রাণীগড়ে মাছ ধরবার জন্য বোসেরা পাস করেছে নাকি হে ?” রসিক যেন একটু বিস্মিতের ভাব প্ৰকাশ করিয়া বলিল,- V