পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। বড়কর্তা তা জানেন না। নাকি ! আজি ক’বৎসর থেকেই তো পাস দিচ্ছে। সদর থেকে সাহেব মেমরী পৰ্যন্ত মাছ ধরতে আসে ।” কৰ্ম্মশূন্য সঙ্গীশূন্য অখিলচন্দ্র গ্রামে ফিরিয়া অবধি কেবলি মাছ ধরিয়া ফিরিতেছিলেন,-এ পুকুর সে পুকুর, নানা পুকুর ঘুরিয়াও তিনি অদ্যাপি একটা মৎস্যও বড়শিতে গাঁথিতে পারেন। নাই। রসিকের মুখে রাণীগড়ের নাম শুনিয়া, ‘কিলবিল’৷ মাছের কথায় তাহার রাণীগড়ে ছিপ ফেলিবার ইচ্ছা বলবতী হইয়া, উঠিল। তিনি তঁহার ঠাকুরদাদাকে ধরিয়া পড়িলেন, বলিলেন,- “দাদামশাই আমি রাণীগড়ে মাছ ধরতে যাব,---কাল সকালেই তার বন্দোবস্ত ক’রে দেওয়া চাই ।” পৌত্র রাণীগড়ে মৎস্য ধরিতে চাওয়ায় বুদ্ধ গৌরীশঙ্কর রায়ের মুখখানা একটু অপ্ৰসন্ন হইল। পাশাপাশি দুই ঘর জমিদার হওয়ায় তঁহাদের উভয়ের মধ্যে বংশ পরম্পরায় একটা না একটা বিষয় লইয়া কেবলই মামলা চলিয়া আসিতেছিল। উভয়ের মধ্যে পরস্পরে মুখ দেখাদেখি ছিল না, একে অপরের অনিষ্ট করিবার জন্য সাঁতত উদগ্রীব। এ অবস্থায় কি করিয়া তিনি তঁহার নাতিকে বোসেন্দের দীঘিতে মাছ ধরিতে যাইতে অনুমতি প্ৰদান করিতে পারেন । রায় মহাশয় একটু পস্তীর স্বরে বলিলেন,-“ভায়া বোসেন্দের সঙ্গে আমাদের চির বিবাদ, এ অবস্থায় বোসেন্দের দীঘিতে মাছ ধর্তে যাওয়াটা কি ভাল দেখায়।” রসিক তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল,-“এতে আর ভাল মন্দ A