পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। একমাত্ৰ কন্যার আশীৰ্ব্বাদ হইতেছে, তিনি যে আজ উপস্থিত নাই ! কন্যার বিবাহের কত আশা, কত আকাশ-কুসুম কিছুই না শেষ হইতেই যে তঁহার জীবনের কাজ ফুরাইয়াছে ; তিনি যে সকল তাহার এক ফোটা জল চক্ষু হ বড়িয়া পড়িয়াছলি তােহ। যে আজও কমলরণীপু চক্ষের উপর ভাসিতেছে। অশ্রু ছােড়। পৃথিবীতে অল্প যে তাঙ্গার কিছুই নাই, তাহা তিনি কেমন করিয়া ক্যাকে বলবেন । কমলপুরাণী কন্যার কথায় কোন উত্তর দিলেন না, আদরে, অঞ্চলে কন্যার মুখখানি মুছইয়। দিয়া আবার তা হাতে খোপার কঁ{টার সাহায্যে বিন্দু বিন্দু করিয়া চন্দন পরে পরে বসহঁতে লাগিলেন । চন্দন পরান প্ৰায় শেষ হইয়; অ্যাসিয়াছে সহসা পুষ্প মায়ের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, “ম, এই অ! গুটিটা ফেব্রু ত না, দেওয়া আমাদের বড় マ{羽河 エび返 " কমলরাণী কন্যার বিবাহ চিন্ত{ লষ্টম। অঙ্গুরীর কথাটা একেবারেই ভুলিয়। গুয়াছিলেন,-কন্যার কথাম স্মরণ হইল। সঙ্গে সঙ্গে রায় মহাশয়ের নীতির কথাটাও অার একবার তাহার মনে পড়িল । তিনি কি ভুলই করিয়াছেন,-ইচ্ছা করিলেই রায় মহাশয়ের নাতির সহিত কন্যার বিবাহ দিতে পারিতেন। কিন্তু ওরূপ সুবিধা সত্ত্বেও তাহাও তিনি ভ্রাতার মুখ চাহিয়া পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । এখন আর সে সুবিধা, সে সুযোগের কোনই সস্তাবনা নাই । সে দিনের কাণ্ডের পর হইতে তাহার ভ্রা তার উপর যে বিশ্বাসটুকু እ 88