পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু gi F r - la do pargir mot হাত হইতে তুলিয়া লইল, গম্ভীর ভাবে বলিল, “বাজী ! যদি মাছ ধৰ্ত্তে পারি। কত বাজী হারবে বল ।” অখিলচন্দ্র একবার তাহার সার্টের পকেটে হস্ত দিলেন। কিন্তু তথায় কিছুই নাই। তিনি হটবার পাত্র নহেন বলিলেন, “এই আমার আংটা বাজী। যদি তুমি মাছ ধরতে পার এই আংটী তোমায় খুলে দিয়ে যাব।” বালিকা বলিল, “আমি যদি মাছ না ধৰ্ত্তে পারি, তবে আমার এই হার তোমায় দিয়ে দেব ।” মহা আম্ফালনে বাজা রাখিয়া বালিকা ছিপের বড়শি দুইটা অখিলচন্দ্রের গায়ে ফেলিয়া দিয়া বলিল,-“দাও দেখি টোপ গেcথ-একটায় কেঁচো, একটায় ময়দা ।” অখিলচন্দ্ৰ নীরবে বড়শি দুইটাতে টোপ গাথিয়া দিলেন, বালিকা ছিপটা জলে ফেলিতে যাইয়া বড়শির দিকে চাহিয়া আবার কাসিয়া উঠিল, সে হাসিতে হাসিতে বলিল,“ওমা তুমি মোটে টোপ গাথাতেই জান না,-তুমি এসেছি মাছ ধৰ্ত্তে ?” অখিলচন্দ্র আর কোন কথা খুজিয়া পাইলেন না, তিনি মহা অপ্ৰস্তুত দৃষ্টিতে বালিকার দিকে চাহিতে লাগিলেন। বালিকা সত্বর অখিলচন্দ্ৰ প্ৰদণ্ড টোপ দুইটা খুলিয়া ফেলিয়া নিজে আবার টোপ পরাইয়া লইল, তাহার পর চারের মধ্যস্থলে বড়শি ফেলিয়া দিল । অখিলচন্দ্ৰ আষাঢ়ের তীব্র রৌদ্র হইতে বালিকাকে রক্ষা করিয়া তাহার পার্শ্বে দাড়াইয় তাহার মস্তকের উপর ছাতা ধরিলেন । আবার উভয়েই নীরব । C8