পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ । রায় মহাশয় কহিলেন, “তবে এ ভাব কেন ? এত বড় একটা মাছ ধরে আনলে, স্মৃত্তি নেই, আনন্দ নেই, ব্যাপার কি ?” “মাছতো আমি ধরিনি দাদামশাই’ একবার ঘাড় তুলিয়া অখিলচন্দ্ৰ এই কয়টা কথা বলিয়া আবার মস্তক অবনত করিলেন । বৃদ্ধ রায় মহাশয় পৌত্রের ভাব বুঝিতে না পারিয়া ক্রমেই বেশ একটু অস্থির হইয়া উঠিতেছিলেন, তিনি আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “তবে মাছটা ধবৃলে কে হে ?” আবার একটা প্ৰকাণ্ড নিশ্বাস ফেলিয়া অখিলচন্দ্র রীতিমত গম্ভীর গলায় বলিলেন, “একটা মেয়ে।” “মেয়ে’ ! গৌরীশঙ্কর রায় প্রখর দৃষ্টিতে একবার তাহার নাতির দিকে চাহিলেন । তাহার পর সর্টকার নলটা টানিয়া লইয়া হাসিয়া বলিলেন, “তাই বল! আমি ভেবেই অস্থির হচ্ছিলেম। বুড়ো হয়েছি, একটু ভেঙ্গেচুরে না বলুলে ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। তা মেয়েটার বয়স কত হে ? বিয়ে হয়নি নিশ্চয়ই। দেখতে শুনতে যে মন্দ নয়, সে কথা জিজ্ঞাসা করাই বিড়ম্বনা। তবে সে শুধু মাছ গেঁথেই ক্ষান্ত হয়নি, তোমাকেও রীতিমত গেথেছে। তোমারই ছপ, তোমারই বড়শি আর মাঝখান থেকে ভায় পড়লে কি না-তুমিই গাথা ।” অখিলচন্দ্ৰ একেবারে দাদামহাশয়ের কোলের নিকট আসিয়া এক নিশ্বাসে বলিয়া ফেলিলেন, “দাদা মশাই, যদি বিযে কৰ্ত্তে হয় তো এই মেয়ে। যদি দেখতে, আমি নিশ্চয়ই বলতে পারি, তোমারই বিয়ে কৰ্ত্তে ইচ্ছা হ’তো। একথান; সাদা দিশী >GS