পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। gyda'r llyfr Llyn r, ran. নামিয়া গেল। গোধূলীর মধুর আলো আঁধারের আলিঙ্গনে সমস্ত পৃথিবী পাণ্ডুবৰ্ণ ধারণ করিল। ডালে ডালে রাজ্যের পাখী। ডাকিয়া উঠিল। সমস্ত আকাশ বাতাস পাগল হইয়া যেন অখিলচন্দ্রের হৃদয়টাকে আলুথালু করিয়া দিতে লাগিল। তিনি প্রেমের স্বপনে বিভোর হইয়া বিশ্ব-সংসার ভুলিয়া গিয়াছিলেন,- তঁহার অন্তরাত্মা, তাহার নশ্বর দেহ ছাড়িয়া নরলোক হইতে দেবালোকে বিচরণ করিতেছিল। সহসা জুয়ের গন্ধ মাতালের ন্যায় কক্ষের মধ্যে প্ৰবেশ করিয়া তাহার চমক ভাঙ্গাইয়া দিল,-তিনি তাড়াতাড়িী একটি সার্ট পরিয়া গৃহ হইতে বাহির হইয়া পড়িলেন। একটা নামহীন ক্ষুদ্র নদী-কুল কুল ব্লব তুলিয়া রামজীবনপুরাটা বেষ্টন করিয়া আবহমান কাল হইতে বহিয়া আসিতেছিল। নদীতে নৌকা চলিত না,-ঢেউ উঠিত না-রোগ যন্ত্রণার পর মৃত্যু যেরূপ নিৰ্বিকার শান্তি বিকীর্ণ করিয়া দেয়, সেইরূপ একটা শান্তি এই নদীটিাকে আচ্ছন্ন করিয়াছিল । অখিলচন্দ্ৰ বাটী হইতে বাহির হইয়া বরাবর সেই নদীটিার তীরে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। বিস্তৃত বালুরাশির মধ্যে ক্ষীণ সলিলা ক্ষুদ্র তরাঙ্গনী জীবিতেশ্বরের সহিত নিজ কায়া মিশাইবার জন্য যুগান্তর ধরিয়া কি আকুল বিরহ সঙ্গীত গাহিয়া চলিয়াছে’-যেন পাওয়ার চেয়ে না পাওয়া-পাওয়ার আশাই তাহার সর্বশ্রেষ্ঠ সাত্ত্বিনা । অখিলচন্দ্ৰ নানা কথা ভাবিতে ভাবিতে বালুতটের উপর দিয়া অগ্রসর হইতেছিলেন। সান্ধ্য সমীরণ ফাক নদীর তীরে হুহু শব্দে চারিপাশ হইতে আসিয়া তাহার সার্টের উপর লুটােপুটি 8R