कूल-वधू। খাইতেছিল। তিনি একটা বঁক্ ফিরিবামাত্ৰ একেবারে একটা বালিকার সামনাসামনি হইয়া পড়িলেন। বালিকা র্তাহার পরিচিত,--এই বালিকাই কল্য তঁহাকে মৎস্য ধরিয়া দিয়া বাজীতে তাহার অঙ্গুরীয়টা জিতিয়া লইয়াছে। বালিকার মুখের উপর দৃষ্টি পড়িবামাত্র অখিলচন্দ্ৰ তাহাকে চিনিলেন। কাল হইতে এই মুখখানি তঁহার চক্ষের সম্মুখে ভাসিতেছিল। প্রেমের প্রথম ফুল এই মুখখানিই যে তঁহার হৃদয়-কাননে বিকশিত হইয়া উঠিয়াছে। বালিকাকে দেখিবামাত্ৰ ঘায়ের উপর ব্যাণ্ডেজ বঁধার মত র্তাহার হৃদয়-ক্ষত যেন একটা তীব্র অভিমানে জ্বলিয়া উঠিল। অবসর বুঝিয়া প্ৰত্যেক কথা মনের কপাট খুলিয়া আবার তঁাহার কর্ণের নিকট বাজিতে লাগিল ! তিনিতে বালিকাকে ডাকেন নাই, বালিকা স্বইচ্ছায় আসিয়া তঁহাকে মৎস্য ধরিয়া দিয়াছিল। বাজিতে আংটাটা জিতিয়া আকুল আগ্রহে তাহ অঙ্গুলীতে পরিয়া অতি সরল ভাবেই চলিয়া গিয়াছিল। অথচ বাটীতে যাইয়া সেই কথাই অন্যরূপ ভাবে বুলিয়া মামার সাহায্যে তঁহাদের অপমান করিতেও ইতস্ততঃ করে নাই। সম্পর্কবিহীন স্বকৰ্য্যে ব্যস্ত লোকের মধ্যে আবাল্যকাল তঁহার কলিকাতাতেই কাটিয়াছে। কখন কদাচিৎ আসিয়া স্বগ্রামে দুই চারিদিন থাকিয়া যাইতেন। ঠাকুরদাদার স্নেহে, আদরে, যত্নে ডুবিয়া সে কয়দিন তিনি পল্লীর হিংসা দ্বেষ দলাদলি কিছুই দেখিতে পাইতেন না। র্তাহার মনে হইত স্বদেশ,-ক্ষেত খামার পরিবেষ্টিত ক্ষুদ্র পল্লী-শান্তিকুঞ্জ ; বুঝি 8N)
