পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । aupe প্ৰত্যহই পুষ্প বৈকালে তাহার পরিচারিকার সহিত বেড়াইতে যাইত, আবার সন্ধ্যার পূর্বেই বাটী ফিরিয়া আসিত, কিন্তু আজি বহুক্ষণ সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে, রাত্রিও প্ৰায় দুই দণ্ড, আড়াই দণ্ড হইতে চলিল তথাপি সে এখনও বাটী ফিরিল না। সন্ধ্যার পর হইতেই কমলরাণী কন্যার চিন্তায় গৃহের মেজের উপর পড়িয়া ছট্‌ফট্‌ করিতেছিলেন। তঁহার প্রাণের ভিতরটা দুৰ্ভাবনার হামানদিস্তার মাঝে পড়িয়া একেবারে ছেচিয়া যেন থেতো হইয়া যাইতেছিল । মায়ের প্রাণ, একমাত্ৰ সন্তানের একটু উনিশ বিশ হইলেই ভাবনায় একেবারে আকুল হইয়া উঠে-নানা কুকথাই কেবল অমঙ্গলের সূচনা করিয়া থাকিয়া থাকিয়া উকিঝুকি মারিতে থাকে। বহু কষ্টে মনকে নানারূপ প্ৰবোধ দিয়া কমলরাণী এতক্ষণ পৰ্য্যন্ত স্থির হইয়াছিলেন। কিন্তু আর কোন ক্রমেই স্থির থাকিতে পারিলেন না । একজন দাসীকে দিয়া তারিণীচরণকে ডাকিয়া পাঠাইলেন । সন্ধ্যার পর রতনবোসের বৈঠকখানা জাকাইয়া তারিণীচরণ তাহার কয়েকজন পার্শ্বচর লইয়া, গৰ্বে স্ফীত হইয়া গলাটা বেশ একটু উচ্চে তুলিয়া ‘গৌরীশঙ্কর রায়কে আজ কিরূপ অপমান (to