পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু । জনক পত্র লিখিয়াছে? তাহারই সমালোচনায় মাতিয়া গিয়াছিল । সেই সময় দাসী আসিয়া সংবাদ দিল, “কর্তৃঠাকুরাণী তাহাকে ডাকিতেছেন।” ভগিনীপতির ঐশ্বৰ্য্যে শ্ৰীমান, তারিণীচরণ কমলরাণীর আজ্ঞা পাইয়া সর্টকার নলটা একজনের হস্তে তুলিয়া দিয়া অন্দরের মধ্যে প্ৰবেশ করিল। উপরের বারান্দার এক পাশ্বে রেলিং ধরিয়া ভ্রাতার আগমন প্ৰতীক্ষায় কমলরাণী দাড়াইয়াছিলেন। ভ্রাতাকে নিকটে আসিতে দেখিয়া উদ্বেগ-জড়িত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘দাদা, পুষ্প কি তোমায় কিছু বলে গেছে, সন্ধ্যে তো অনেকক্ষণ হয়েছে-কই সেতো এখনও বাড়ী ফিস্বল না ?” কমলরাণীর কথায় তারিণীচরণ ও যেন একটু চিন্তিত হইয়া পড়িল। সে বলিল, “কই না, আমাকে তো কিছু বলে যায়নি। সন্ধ্যে তো অনেকক্ষণ হয়ে গেছে, এখনও সে কি বাড়ী ফেরেনি ?’ কমলরাণী কন্যার জন্য বিশেষ ব্যাকুল হইয়া পড়িয়াছিলেন, তিনি মুখখানি স্নান করিয়া বলিলেন, “কখনও তো তার এমন হয় না,-আজি তার এত দেরী হবার কারণ কি ! তুমি শিঘ গিৰ্ব। একজন লোক পাঠিয়ে খোজ নাও,-“দেখ সে কোথায় গেল।” ভগিনীর মুখখানি স্নান দেখিয়া তারিণীচরণ একটু ব্যস্ত হইয়া পড়িল-সঙ্গে সঙ্গে একটা কথা বিদ্যুতের মত র্তাহার চিত্তাকাশে চিক্‌মিক্‌ করিয়া উঠিল। কথাটা যেন এক মুহূৰ্ত্তে প্ৰাণের ভিতরটা একেবারে পুড়াইয়া দিল । তাহার মনে হইল Nè