পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু Took-for" " " i খুড়ীর কথা তখনও শেষ হইবার অনেক বাকি ছিল, কিন্তু দাসী তাহাকে আর অগ্রসর হইতে দিল না। সে খুড়ীর উপরেও আর এক পর্দা চড়াইয়া গলাটা বিকৃত করিয়া তাহার বাম হস্তখানা একেবারে খুড়ীর মুখের উপর নাড়িয়া বলিল, “তা আমরা কি করবো বাপু ! তোমাদের মেয়েটা কেমন শান্ত-গুণ কত ! চেনা নেই, জানা নেই, অমনি ফস করে একজন পরী-পুরুষের হাত ধরা, তার সঙ্গে সে কি রঙ্গ ভঙ্গ, আমরা হ’লে ঘেন্নায় মরে যাই । ভাল কথা বলতে গেলুম, তা না মেয়ে একেবারে মারতে এলেন।” দাসীর কথায় সে পর পুরুষটা কে তাহা বুঝিতে তারিণীচরণের বিলম্ব হইল না। ফস করিয়া একটা কথা উষার আলোর মত তারিণীচরণের চক্ষের সম্মুখে পরিস্কার হইয়া গেল। তবে কি পুস্প গৌরীশঙ্কর রায়ের পৌত্রকে ভালবাসিয়া ফেলিয়াছে। তাহার সহিত যদি পুষ্পের বিবাহ হয় তাহা হইলে তো তাহার জমিদারী করা, আরব্য উপন্যাসের আবুহোসেনের ন্যায় বিবাহের সঙ্গে সঙ্গেই ঘুচিয়া যাইবে । সে একেবারে খাপ্পা হইয়া উঠিল, বেশ একটু তিরস্কার কণ্ঠে ভগিনীর দিকে ফিরিয়া বলিল, “তা বলতে কি, তুমিই বাপু মেয়েটার মাথা খেয়েছ। এত বড় মেয়ে হ’লো, বুদ্ধি শুদ্ধি একেবারেই নেই। মান সন্ত্রম না, ঘুচিয়ে আর ছাড়বে না। দেখছি। কাল থেকে আরওকে মোটেই বাড়ী থেকে বেরুতে দেবে না ।” মামার নিকট তিরস্কার খাইয়া পুষ্প ছল ছল নেত্ৰে অঙ্গুলীর দ্বারা স্মৃত্তিকা খনন করিতে লাগিল। খুড়ীর দৃষ্টি সেইদিকে পড়িবা 仓8