পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু আমার মনটা বড় অস্থির হয়েছে। তুমি শিঘগির তার খোজে লোক পাঠাও।” “আমি এখনি তার সন্ধানে লোক পাঠাচ্ছি’, ‘বলিয়া তারিণীচরণ ভগিনীর নিকট হইতে বিদায় হইতেছিলেন, সেই সময় নীচে খুড়ীর বাজ খাই গলা পঞ্চমে বাজিয়া উঠিল, “বলি এতক্ষণ ছিলি কোথা লা ? বাড়ী শুদ্ধ লোক ভেবে অস্থির-ওর আর বেড়ান। শেষ হয় না । সন্ধ্যে কখন হয়েছে তারা কি হুসা আছে ! বয়স যত বাড়ছে, মেয়ে তত খুকী হচ্ছেন!" পুষ্প খুড়ীর চীৎকারে ক্ৰক্ষেপ না করিয়া হাসিতে হাসিতে মায়ের কক্ষের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল। তারিণীচরণ পুষ্পকে দেখিয়া কমলরাণীর দিকে ফিরিয়া বলিল, “এই তো পুষ্প এসেছে।” কমলরাণী কন্যাকে দেখিয়া অতি গভীর কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন,-“এত রাত্তির অবধি কোথায় ছিলি রে ?” মায়ের প্রশ্নে পুস্প জবাব দিতে যাইতেছিল। কিন্তু তাহার জবাব দেওয়া হইল না। খুড়ী একেবারে বাপাইয়া আসিয়া পুড়িলেন। যে দাসী পুষ্পের সঙ্গে গিয়াছিল সেও পুষ্পের সঙ্গে সঙ্গে উপরে আসিয়াছিল। তিনি তাহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, “বলি ওই যেন ছেলেমানুষ, তুমিও তো বাছা একটা বুড়ো মাগী সঙ্গে ছিলে, তোমার তো একটা আঙ্কেল থাকা উচিত ছিল। পরের বাড়ী কাজ কৰ্ত্তে হ’লে একটু হুস করে চলতে হয়। বাড়ী থেকে একবার বেরুলে আর ষে ফিরতে হবে তা যে তোমাদের মনে थांक न ।।” &\o