পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগাছারা দল বাধিয়া ছোট খাটো জঙ্গল করিয়া বেশ একটু মাথা তুলিয়া দাড়াইয়াছে। অতি প্ৰত্যুষে উঠিয়া তারিণীচরণ সেই উদ্যানটার সম্মুখে পাইচারি করিতেছিল, আর এই সমূহ বিপদ হইতে রক্ষা পাইবার জন্য একটার পর একটা মৎলব আঁটিতেছিল। সেই সময় গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্ত আসিয়া হাজির হইল। গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তী লোকটা বেশ নাদুস-নুদুস,-ঘটকালি তাহার পেস্যা। সৎ অসৎ সকল রকম পাত্ৰই দু’। দশটা সৰ্ব্বদাই তাহার নিকট মজুত থাকিত । বোসেন্দের বাটীর সম্বন্ধটার উপর তাহার অনেক দিন হইতেই নজর ছিল। এই বিবাহটা লাগাইতে পারিলে আর এক বৎসর ভাবিতে হয় না, কিন্তু কোন পাত্ৰই কমলরাণীকে পছন্দ করাইয়া উঠিতে পারিতেছিল না। বোসেন্দের বাড়ীর লোক যে তাহাকে ডাকিতে আসিয়াছিল। সে সংবাদটা সে রাত্ৰেই পাইয়াছিল, তাই ভোর হইতে না হইতেই বোসেন্দের বাটী আসিয়া উপস্থিত হইল। সম্মুখেই তারিণীচরণ। সে বেশ একটু মিহি সুরে বলিল, “বাবুকি আমায় ডেকেছিলেন ?” তারিণীচরণের তখন আর বাজে কথা বলিবার অবসর ছিল। না। সে একেবারে কাজের কথা পাড়িল, “ই, তুমি সেদিন যে পাত্ৰটীর কথা বলেছিলে তার সঙ্গেই পুষ্পের বিবাহ দেওয়াই মত হলো। তুমি আজই কলকাতায় রওনা হও, কথা বাৰ্ত্ত। একেবারে পাকা করে আসা চাই। আর যদি সুবিধে হয়। পাত্ৰকে একেবারে সঙ্গে করে নিয়ে আসবে, যদি নেহাত তোমার সঙ্গে আসবার . (S