পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। অসুবিধা হয় যত শীঘ্ৰ হয় আশীর্বাদের একটা দিন স্থির করে আসবে। আমি সংবাদ পেলেই পাত্ৰকে আশীৰ্বাদ করে আসবো । এই মাসের মধ্যেই বিয়ে হওয়া চাইই।” সহসা মত পরিবর্তনের গুঢ় রহস্য কি তাহা জানিবার গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর বিশেষ কোন আগ্রহ ছিল না। কোন ক্রমে বিবাহটা লাগাইতে পারিলেই হয় ; সে তাহার সুগোল ভুড়ীটিতে দুই তিন বার হাত বুলাইয়া বলিল, “সে পাত্রের আর ঠিকঠাক কি বাবু, সেতো ঠিক হয়েই আছে, আপনাদের অনুমতি হ’লে বিয়ে কোন কালেই হয়ে যেত। এ আমার বড়ায়ের কথা নয় বাবু-বিয়ে দেবার মত, পাত্ৰ বটে। দেখতে শুনতেও যেমন হৃষ্ট পুষ্ট, বিদ্যে বুদ্ধি ও খাসা । আপনার ভাগ্নীর পাশে যা মানাবে,--আহা যেন শচীর পাশে ইন্দ্ৰা ।” তারিণীচরণ গম্ভীর ভাবে বলিল,-“এস আমার সঙ্গে, আমি এখনি তোমার রাহ! খরচের বন্দোবস্ত ক’রে দিচ্ছি। তুমি এই সকালের গাড়ীতেই রওনা হও। শুভ কাজে দেরী করা কিছু নয়, আজকালের বাজারে ভালো ছেলে পাওয়াই দুৰ্ঘট, শেষ আবার হাত ছাড়া হবে ।” গোবিন্দ একগাল হাসিয়া বলিল, “যদি হাত ছাড়াই হবে, তবে আর আপনাদের অনুগ্রহে এত কাল কি ঘটকালি করলুম।” তারিণীচরণ অগ্রসর হইতে হইতে বলিল,-“না না-বলা যায় না তো, তুমি এই সকালের গাড়ীতেই রওনা হও ।” রাহা খরচের আশায় তারিণীচরণের পশ্চাৎ পশ্চাৎ গোবিন্দ Ve