পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু ! “অপমান করে সে লোকটা কে হে” এই কথাটা রসিকের ঠোঁটের গোড়ায় একেবারে আসিয়া পড়িয়াছিল, আর একটু হইলে বাহির হইয়া গিয়াছিল। আর কি, কিন্তু রায় মহাশয়ের কথাগুলো সহসা মনে পড়ায় সে ঢোক গিলিয়া খুব সামলাইয়া ফেলিল । রায় মহাশয় তাহাকে পাই পই করিয়া বলিয়া দিয়াছেন,-রাগরাগি, বাদ-বিসম্বাদ মোটেই করিবে না। যদি ধরিয়া দু’ ঘা প্ৰহার করে, তথাপি মুখ বুজিয়া চলিয়া আসিবে। কেবল যদি সম্ভব হয়, কমলরাণীর মুখ হইতে শুনিয়া আসিবে, তাহার এ বিবাহে মত আছে কি না ? কাজেই রসিককে আবার জোর করিয়া মৃদু হাসিতে হইল ; সে হাসিতে হাসিতে বলিল,-“এ যে মিশাই আপনার অন্যায় রাগ ! আপনি তো আর মেয়ের মা। নন, আপনি যে মেয়ের মামা । একেবারে আসমান জমিন ফারাক। মার মুখ থেকেই কথাটা পাকা হওয়া ভালো নয় কি ! कि दल bकदखै ?” রসিককে যে রায় মহাশয় বিশেষ স্নেহ করেন, তাহ গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর অবিদিত ছিল না। সে কি বলিবে ? একদিকে তারিণীচরণ, অন্য দিকে গৌরীশঙ্কর রায়। এ অবস্থায় তাহাকে কোন কথা বলিতে হইলেই উলুৰ খড়ের ন্যায় মারা যাইতে হয়। সে বুদ্ধিমানের ন্যায়, কোন উত্তর না দিয়া, হে। হো করিয়া হাসিয়া একেবারে দুই পাটী দাত বাহির করিয়া ফেলিল। রসিকের কথাগুলা অপমানঠাসা বন্দুকের গুলির মত চামড়া ভেদ করিয়া তারিণী চরণের একেবারে বুকের ভিতর যাইয়। হৃদপিণ্ডে সজোরে আঘাত Ve)