পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। একেই তে রসিককে দেখিয়াই তারিণীচরণ জলিয়া গিয়াছিল তাহার উপর ঘটকালির নামে সে যেন একেবারে খাপ্পা হইয়া গেল। বিকৃত কণ্ঠে বলিল, “আমার ভগ্নীতে আর মেমসাহেব নয় যে সাক্ষাৎ কৰ্ত্ত চাইলেই সাক্ষাৎ হবে। আর কারুর ভিটে বাড়ীর প্রজাও নয় যে সংবাদ দিলেই সামনে এসে খাড়া হবে।” রসিক তাহার জিহব্যাখানা প্ৰায় সবটাই বাহির করিয়া ফেলিয়াছিল, সে মাথাটা নাড়িয়া বলিল, “আজ্ঞে আমি কি তাই বললুম। আপনি চটে যাচ্ছেন কেন ? স্থেলে যেমন মায়ের কাছে নিবেদন করে, আমি কেবল সেই ভাবে আমার যা বক্তব্য মার কাছে নিবেদন কৰ্ব্বে । আমি এ স্পৰ্দ্ধ। কখনও রাখিনি যে বলি তিনি এসে আমার সম্মুখে দাঁড়ান। দূর থেকে-আড়ালে দাড়িয়ে আমার বক্তব্যটুকু শুনবেন, বাস। এই পৰ্য্যন্ত ।” তারিণীচরণ মুখখানা বিকৃত করিয়া বলিল, “বাস। এই পৰ্য্যন্ত টাৰ্য্যন্ত এখানে চলবে না। যদি তোমার কিছু বলবার থাকে আমায় বলতে পারে। ;-আর বলবেই বা কি—তুমি যা বলতে এসেছি, তার বিশেষ সুবিধে হবে না। পুষ্পের বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক হয়ে গেছে। শিঘগির পাকা দেখা হবে।” রসিক তাড়াতাড়ি বলিল, “ওইটুকু-শুধু ওইটুকু। আপনার ভগিনীর মুখে কেবল ওইটুকু শুনে সন্তুষ্ট হয়ে চলে যাব।” তারিণীচরণ এবার রীতিমত রাগিয়া গেল-সে চীৎকার করিয়া বলিল, “একি আব্দার নাকি ? যা শোনবার তা আমার মুখেই শুনেছি, আর অধিক শুনতে গেলে অপমান হতে হবে।” CeS