পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ । “আর একটু হ’লেই বলে ফেলেছিলুম। আর কি !” ঝড়ের মত অখিলচন্দ্র বৈটকখানার ভিতর প্রবেশ করিলেন, বৈটকখানার ফরাশের উপর বসিয়াছিলেন রায় মহাশয় ও রসিকমোহন। উভয়েই মহা উদগ্রীব ভাবে তাহার মুখের দিকে চাহিলেন। কথাটা সব শুনিবার জন্য কেহই কোন কথা কহিলেন না। অখিলচন্দ্ৰ ভঁাহার ঠাকুরদাদার সম্মুখে আসিয়া ফরাশের উপর বসিতে বসিতে পুনরায় বলিলেন, “খুব সামলে গেছি। দাদামশাই,- আর একটু হ’লেই মুখ দিয়ে কথাটা বেরিয়েছিল। আর কি!” গৌরী শঙ্কর রায়ের বৈটকখানা একেবারে নিবিয়া গিয়াছিল, -যেখানে সন্ধ্যা হইতে রাত্রি দুই প্রহর পর্য্যন্ত একটা হৈ-হৈ, রৈ-রৈ ব্যাপার চলিত-সেখানে একেবারে নীরব-নিস্তািন্ধ । রণস্থলে সহসা সেনাপতি বন্দি হইলে সৈন্যগণ যেমন ছোড়ভঙ্গ হইয়া পড়ে,-সেইরূপ রায় মহাশয়ের বিরাট গাম্ভীৰ্য্যের সঙ্গে সঙ্গে তাহার সঙ্গিগণও একেবারে মুসাড়াইয়া গিয়াছিল। কেহ আর বড় একটা সন্ধারপর তাহার বৈটকখানায় উপস্থিত হইত না । তিনিও আর অধিক রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত বৈটকখানায় বসিতেন না। যে ফরাশের উপর বসিয়া পরিচর্চাদলাদলির তুফান বহিয়াছে, তাহ হলদিঘাটের মত শূন্য পড়িয়া starts refSNC i