পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ምማማ¶ክ রায় মহাশয়ের উপর বড় আস্থা, তাই সে আজও নীরবে তারিণীচরণের • অপমানটা সহ্য করিতেছিল। তাহার বড় আশা ছিল, নিশ্চয়ই ছোটবাবুর সহিত কমলরাণীর কন্যার বিবাহ হইবে এবং সে সেই বিবাহ-রাত্রে বড় গলা করিয়া তারিণীচরণকে বলিবে, “ওগো মশাই এখন তোমার দেউড়ীর দরিয়ান গেল কোথায় ?” কিন্তু যখন তাহার সে আশাটার মুখেও ছাই পড়িবার মত । হইল,--যখন সে শুনিল তারিণীচরণ পুষ্পের বিবাহ স্থির করিয়া ফেলিয়াছে, এমন কি আশীৰ্বাদ পৰ্যন্ত হইয়া গিয়াছে,-১৮ই শ্রাবণ বিবাহ ; তখন আর সে কেমন করিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতে পারে ; তাই সে; আজি ব্যাপারটার একটা হেস্তনেস্ত করিবার জন্য প্ৰস্তুত হইয়া আসিয়াছিল। কিন্তু রায় মহাশয়ের বিরাট, গাম্ভীৰ্য্য দেখিয়া সে কথাটা তুলি তুলি করিয়াও এতক্ষণ তুলিতে, পারে নাই। সে কথাটা তুলিতে যাইতেছিল,-এমন কি তাহা একবারে তাহার ঠোঁটের উপর আসিয়া পড়িয়ছিল ; সেই সময় অখিলচন্দ্ৰ কক্ষের ভিতর প্রবেশ করিয়া একটা মহা প্ৰহেলিকার সৃষ্টি করিয়া তাহার সমস্ত গোলমাল করিয়া দিল । বহুদিন পরে আবার আজ’ পৌত্রের মুখে হাসি দেখিয়া রায় মহাশয়ের প্রাণটা যেন একটু সাদা হইয়া উঠিল,-ব্যাপারটা কি জানিবার জঙ্গ তাহার বড় কৌতুহল হইল, তিনি আর নীরব থাকিতে পারিলেন না-মৃদু হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কি রকম ভয় ?” অখিলচন্দ্ৰ হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “দাদামশাই! বুড়ো শিবের নাটমন্দিরে দাড়িয়ে তার পুজোরীর সঙ্গে কথা কইছি, সেই bም ዓ