পাতা:কৃষি-চন্দ্রিকা.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २ ) লোলুপ হইয়াছে। ভাল কাপড়, চাদর জুতা ব্যবহার পূর্বক বিলাসেচ্ছা পূর্ণ করিয়া সুগ্নী হইব, এই আকাঙ্ক্ষায় লাঙ্গল ধারণে আর তাহদের প্রবৃত্তি হয় না। “ পরন্তু চাকরী স্বীকার করিয়া যে সুখ ভোগ করে তাহা কাহার অবিদিত নাই ! মুখী হওয়া দূরে থাকুক লাভের মধ্যে পূৰ্ব্বপুরুষের কৃষিকাৰ্য্য দ্বারা যাহা সঞ্চিত রাথিয়ছিলেন, ক্রমে ক্রমে তাছা নাশ করে, এবং পরিশেষে এক মুষ্টি তণ্ডুলের জন্য লালায়িত হয়। যে পর্যন্ত এইৰূপ অবস্থাপন্ন না হয়, কৃষিবৃত্তি পরিত্যাগ করিয়া সেবক বৃত্তি অবলম্বন করায় কি মুখ তাবৎ তাহারা তাহ বুঝিতে পারে না। পক্ষান্তরে উচ্চ শ্রেণীস্থ ভদ্রলোক মহাশয়ের কৃষি কার্য্যের ন্যায় কৃষি ব্যবসায়ীদিগের প্রতিও সাতিশয় অবজ্ঞা প্রদর্শন করেন। কোন কার্য্যে কাছার ক্রেটা দেখিলে অমৃনি তাহাকে চাস৷ বলিয়। তিরস্কার করিয়া থাকেন। কৃষকেরা তাহদের নিকট যে, নিতান্ত হেয় তাহা উক্ত তিরষ্কারেই সুস্পষ্ট অনুভূত হইতেছে। উচ্চ শ্রেণীস্থ লোকেরা যখন কৃষিকে এইৰূপ নীচ জ্ঞান করেন, তখন কৃষকদিগের সামান্য জ্ঞানে তাহা তুচ্ছ বোধ হইবে আশ্চর্য্য কি ? অতএব কৃষকের ইচ্ছাপুৰ্ব্বক কৃষিকাৰ্য্য পরিত্যাগ করিতে, যে ষাত্নিক হয়, তজ্জন্য তাহাদিগকে বড় দোষ দেওয়া যায় ন কারণ বড় হওয়ার ইচ্ছা সকলেরই আছে। সকলেই আপনাকে সম্মানিত করিতে চেষ্টা করে ।