পাতা:কৃষি-চন্দ্রিকা.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( & ) এৰূপ অবস্থায় সাধারণের হেয়জনক কার্যে নিযুক্ত থাকিতে তাহারা কেন সন্তুষ্ট হইবে ? অতএব প্রকৃত পক্ষে বিবেচনা করিলে উচ্চ শ্রেণীস্থ সম্ভান্ত 'মহাশয়েরাই এবিষয়ে সম্পূর্ণ দোষী। সে ঘাহা ইউক যে কৃষি আমাদের একমাত্র উপজীবিকা, যাহার অপ্রতুল হইলে দেশ মধ্যে হাহাকার শব্দ উখিত হয়, তাহার প্রতি অনবহিত থাকা কতদূর কল্যাণকর, তাহ সহজে ই বোধ হইতে পারে। পরস্তু" সৌভাগ্যের বিষয় এই, আমাদের জন্মভূমি,ভারত; বর্ষের মৃত্তিক সাতিশয় উর্বরা; নিতান্ত অযত্নে বীর্জ ছড়াইলেও উর্বরতা গুণে তাহা একেবারে নিস্ফল হয় না। যদি এদেশের কৃষিকাৰ্য্য ইংলণ্ড প্রভৃতি দেশের ন্যায় কষ্ট সাধ্য হইত, তাহা হইলে আমাদিগকে নিশ্চয়ই বিদেশীয়দিগের মুখাপেক্ষা করিয়। চলিতে হইত। বস্তুতঃ এদেশের কৃষকদিগের কার্য্যগতিকের পর্য্যালোচনা করিলে এমত উপলব্ধি হয় না যে, ইহার নিজ শ্রমার্জিত শস্য- দ্বারা অন্যত্রের অভাব মোচন করিবেক এৰূপ অভিপ্রায় রাখে। যদি এদেশীয়দের ভূমিকৰ্ষণ প্রণালী উৎকৃষ্ট হইত এবং রীতিমত চাস কার্য্য সম্পাদনে ইহাদিগের মানসিক প্রবৃত্তি থাকিত, তাহা হইলে স্বভাবতঃ উৰ্ব্বর। ভারত ভূমিতে, যে অপৰ্য্যাপ্ত শস্য উৎপন্ন হইত তাহা আর বলিবার অপেক্ষ রাখে না। এদেশীয় উচ্চশ্রেণীস্থ লোকেরা কৃষিকাৰ্য্য পরি ত্যাগ করিয়াছেন বলিয়। পুৰ্ব্বতন আর্য্যগণেরও ॐ ९