পাতা:কৃষি-চন্দ্রিকা.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৭৯ ) গাজরের বীজ রাখিবার প্রয়োজন না হইলে, চার নাড়িয়া পুতিতে হয় না। দেড় ছটাক গাজরের , বীজে এক কাঠা জমীর চাষ-ক্রিয়া সম্পন্ন হইতে পারে । বুকোলি । এই উদ্ভিজ্জ ভারতবর্ষে জন্মাইতে অধিক যত্নের আবশ্যক করেন। ভারতবর্ষের নিম্নতলু প্রদেশসমূহে ইহা অতি উত্তম জন্মে। ব্রকোলি তিন প্রকার; সাদা, বেগুণে ও সবুজ। ইহার টাটুক। বীজ সংগ্রহ পূৰ্ব্বক ভাদ্র বা আশ্বিন মাসে বপন করিবে; বপন করিয়া বীজের উপর ধূলিবৎ চুর্ণিত মৃত্তিক অতি পাতলাৰূপে (এক অঙ্গুলির ষষ্ঠাংশ পরিমাণে) চাপা দিবে এবং জল সিঞ্চন করিয়া’ সৰ্ব্বদ। ঐ মৃত্তিকা সরস রাখিবে। ভাদ্র মাসে ঘরের বারগুয়ি বা তাদৃশ ছায়া-বিশিষ্ট স্থানে গামূলাতে চারা জন্মাইয়া, আশ্বিন মাসে সেই সকল চার স্বতন্ত্র স্থানে রোপণ করিবে । যখন চার। গুলিতে ৬টা করিয়া পত্র’উদগত হইবে, তখন তাহদের কাটা ভাঙ্গিয়া দিবে ; এবং যখন ১২ট পত্র । উদগত হুইবে, তখন তাহাদিগকে ঐ স্থান হইতে উঠা ইয়া পরস্পর পৌনে দুই হাত অন্তরে২ ক্ষেত্রে স্থিরতররূপে পুতিয়া দিবে। ইহার পর আর স্থানান্তর করিবার আবশ্যক নাই ।