পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औदी সেই নৃত্য যেন গতির আতিশয্যে চাঞ্চল্য ধরা পড়িতে না পায়, চক্ষু যেন প্ৰতারিত হয়,-মনে হইবে যেন আঁচলখনি পৰ্য্যন্ত নড়িতেছে না, নুপুর বাজিতেছে না,-হাতের কঁাকণের শব্দ শোনা যাইতেছে না। একটি সাতবৎসরের কায়স্থ বালিকা একদিন কৃষ্ণকমলকে এতৎসম্বন্ধে একটা প্রশ্ন করিয়া আশ্চৰ্য্য করিয়া দিয়াছিল। আমি নিত্যগোপাল গোস্বামীর লেখা হইতে সেই কথা কয়েকটি উদ্ধৃত করিতেছি। “বালিকা ভাগবতের কথা তুলিয়া প্রভুকে কহিল—“দেখুন, ঠাকুর মহাশয়, পাঠের সময় কেহ অধৈৰ্য্য হয়, কেহ চীৎকার করিয়া কঁাদে, বড় গোলমাল হয়, সকল কথা শুনা যায় না, এমন ভাবে অধৈৰ্য্য হওয়া কি ভাল ?” গোস্বামী প্ৰভু বালিকার মুখে প্রবীণোচিত কথা শুনিয়া বিস্মিত হইলেন ও সাদরে উত্তর করিলেন—“না মা, ধৈৰ্য্যই ভাল, ধৈৰ্য্যই মাধুৰ্য্য।” মৃত্যুকালে তিনি প্রিয়পুত্ৰ নিত্যগোপাল গোস্বামীকে যে কয়েকটি Cre কথা বলিয়াছিলেন, তাহা বৈষ্ণবধৰ্ম্মের শ্ৰেষ্ঠ সাধনা প্ৰদৰ্শন করিতেছে ; “তোমরা গিরিধারীর এই জ্ঞানে আমি এতাবৎ তোমাদের সেবা করিয়াছি। পালন করি নাই। প্ৰতিপালনের কৰ্ত্তা গিরিধারীকেই জানিও, এই ভাব লইয়া সংসার করিও ।” গিরিধারী তাহার গৃহদেবতা । নিজের সন্তানদিগকেও ভগবানের অংশ মনে করিয়া তাহদের সেবায় জীবন নিয়োগ করিয়া তিনি ভক্তিধৰ্ম্মের চূড়ান্ত কথা জীবনে দেখাইয়াছেন। নিজের কর্তৃত্বভাব সম্পূর্ণ তিরোহিত না হইলে এই ভাবের ভগবৎ-সেবার ভাব মনে উদিত হইতে পারে না । নিত্যগোপাল তাহার পিতার যে জীবনী লিখিয়াছেন, তাহাতে একটুকুও আধুনিকত্ব নাই, এই সুরটি আমার নিকট অতীব উপাদেয় মনে হইয়াছে, কারণ ইহাতে ইংরেজীর নকল করা। “বৈজ্ঞানিক প্ৰণালী”র निडIgioांव विशिष्ठ खौवनी