পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांदJ अभियांत्रिम S করিতে থাকেন, যে লতাটা শালতারুর মত শক্ত নহে, তাহাকে আমরা কি বলিব ? নারদকে কি বলিতে হইবে, তুমি বীণার লাউটা ফেলিয়া দিয়া গাণ্ডীব লইয়া আইস, ওরূপ কোমল সুরের আমরা পক্ষপাতী নহি ?” বৈচিত্ৰ্যই পৃথিবীর অপুৰ্ব্বত্ব ; যে জাতির যেটা বৈশিষ্ট্য, সেইটি সেই জাতির উন্নতি ও অবনতির মানদণ্ড । অপর কোন মানদণ্ড তাহার গুণনির্ণায়ক নহে । কৃষ্ণকমল তাহার কাব্যগুলিতে বাঙ্গালী জাতির এই বৈশিষ্ট্য ও সার সাধনা যেরূপ মনোহর করিয়া দেখাইয়াছেন, সেরূপ এদেশের খুব অল্পসংখ্যক কবিই দেখাইতে পারিয়াছেন ; এজন্য তাহার যাত্রার আসরে মৃদঙ্গ বাজিয়া উঠিলেই সমস্ত লোকের প্রাণে সাড়া পড়িত। বাঙ্গালী চৈতন্যদেবকে যে ভাবে ভালবাসিয়াছে, এভাবে এপৰ্যন্ত আর কাহাকেও ভালবাসিতে পারে নাই ; সন্ন্যাসী অর্থ, যাহার ৰিরাগই প্ৰধান লক্ষণ ; কিন্তু চৈতন্তের হৃদয়ময় অনুরাগ, অনুরাগের প্ৰাবল্যে তিনি বিক্ষিপ্ত, এজন্য তদনুরাগী কবি গোবিন্দদাস তাহাকে “ভগুসন্ন্যাসী” আখ্যা দিয়া তাহার স্তুতি করিয়াছেন । বাহিরে গৈরিক বসন, জটাজুট, কিন্তু হৃদয়টি অনুরাগের ফুল্প শতদল। মহাপ্রভুর জীবন সমস্ত বাঙ্গালীর কণ্ঠে গানে গানে প্রচারিত হইয়াছে। ঐতিহাসিক যুগে পৃথিবীর কোন দেশে কোন ব্যক্তির চরিত্যকথা এরূপ গানে পরিণত হইয়া আপামর সাধারণের নিকট প্রচারিত হইয়াছে তাহার উদাহরণ তি আমরা জানি না। তঁহার জীবনটি ছিল কবিত্বময়, একটা স্বপ্নের ন্যায়,-এরূপ জীবন কে কবে দেখিয়াছিল ? সত্য সত্য কোন ব্যক্তি তমালগাছ ধরিয়া অজ্ঞান হইয়া প্ৰেমাস্পদের আলিঙ্গন অনুভব করিয়াছেন ? সত্য সত্য কোন ব্যক্তি মেঘোদয় দেখিয়া কৃষ্ণ ভ্ৰমে তাঁহাকে R 65ख्छ-डौवनव्र अधि