পাতা:কৃষ্ণকমল গ্রন্থাবলী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खैशैदनै ঢাকানগরীতে মালাকার টোলায় সাহাবংশীয় কোন শিষ্যের বাড়ীতে বাস করিতেছিলেন। মুরলীধর যখন দেখিলেন, পুত্রের জীবনের আশা নাই, তখন দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বুলিলেন-“ভাবিয়াছিলাম বৃন্দাবনে দেহত্যাগ করিব, তাহা হইল না ।” এই কয়েকটি কথা বলিয়া একটা নির্জন গৃহে যাইয়া যোগ-প্রক্রিয়া দ্বারা নিজ দেহ ত্যাগ করিলেন। তাহার মৃত্যুর পর কৃষ্ণকমল ক্ৰমে সুস্থ হইয়া উঠিলেন। কৃষ্ণকমল বিংশ বৎসর বয়সের পূর্বেই “নন্দাহরণ” নামক একপালা যাত্ৰা রচনা করেন । বরুণদেব নন্দমহারাজকে যমুনার জলে হরণ করিয়া লইয়া গিয়াছিলেন, এতদুপলক্ষে গোপগোপীদের বিলাপ ও কৃষ্ণ কর্তৃক নন্দের উদ্ধার-এই যাত্রার বিষয়। ভাজনঘাটে যাত্রার পালাটি অভিনীত হইয়াছিল। এই পালাটি অতিশয় হৃদয়-গ্ৰাহী হইয়াছিল, কিন্তু ইহা এখন দুল্লভ । অনুমান ১৮৪২ খৃঃ অব্দে তাহার প্রতিভার প্রথম উজ্জল কুসুম “স্বপ্নবিলাস” রচিত হয়। ঢাকায় একরামপুরবাসী ব্ৰাহ্মণদিগের দ্বারা এই পালা অভিনীত হয় ; সমস্ত পূর্ববঙ্গ “স্বপ্নবিলাসের” গানে মাতিয়া উঠে । এই যাত্রা সুচারুরূপে অভিনয় করিবার সমস্ত ব্যয় মুচিপাড়ার জমিদার ঈশানচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় বহন করিয়াছিলেন । এই বৎসরের শেষভাগে কৃষ্ণকমল তাহার সর্বশ্রেষ্ঠ যাত্ৰা “দিব্যোন্মাদ” বা “রাইউন্মাদিনী” প্ৰণয়ন করেন। ১৮৫৬ খৃঃ অব্দে অর্থাৎ এই দুই পুস্তক রচনার ১৪ বৎসর পরে “বিচিত্র-বিলাস” রচিত হয়। এই পুস্তকের ভূমিকায় “স্বপ্নবিলাস” ও “রাইউম্মাদিনী”র উল্লেখ করিয়া কবি লিখিয়াছিলেন :-“বোধ হয়। ইহাতে সাধারণেরই প্রীতি সাধিত হইয়াছিল, নতুবা প্ৰায় বিংশতি সহস্ৰ পুস্তক স্বল্প দিনের মধ্যে নিঃশেষিত হইবার সম্ভাবনা কি ?” পিতার মৃত্যু sitfive-capca