পাতা:কৃষ্ণকান্তের উইল-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণকাম্ভের উইল ১২৮২ বঙ্গদের পেীয়-সংখ্যা বঙ্গদর্শনে আরম্ভ হয়। পৌষ, মাঘ ও ফান্ধনে মৰম পরিচ্ছেদ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। চৈত্র-সংখ্যা বাহির করিয়া বঙ্কিমচন্দ্র স্বসম্পাদনায় বঙ্গদর্শন প্রচার বন্ধ করিয়া দেন। অসম্পূর্ণ কৃষ্ণকান্তের উইল নবম পরিচ্ছেদ পর্য্যন্ত বাহির হইয়া পড়িয়া থাকে। ১২৮৪ বঙ্গাব্দের বৈশাখ হইতে সঞ্জীবচন্দ্রের সম্পাদনায় বঙ্গদর্শন পুনরায় বাহির হইতে থাকে। কৃষ্ণকাম্ভের উইল বৈশাখ হইতে আবার আরম্ভ হইয়া (দশম পরিচ্ছেদ হইতে ) মাঘ-সংখ্যায় শেষ হয়। মোট ৪৬ ও পরিশিষ্ট—এই ৪৭ পরিচ্ছেদে উপন্যাস সমাপ্ত হয়। 'কৃষ্ণকান্তের উইল’ পুস্তকাকারে বাহির হয় ১৮৭৮ খ্ৰীষ্টাব্দে, পৃষ্ঠা-সংখ্যা ১৭। পুস্তক দুই খণ্ডে বিভক্ত হইয় প্রথম খণ্ডে ৩১ ৪ দ্বিতীয় খণ্ডে ১৫ ও পরিশিষ্ট, মোট ৪৭ পরিচ্ছেদই থাকে। দ্বিতীয় সংস্করণ বাহির হয় ১৮৮২ খ্ৰীষ্টাব্দে, পৃষ্ঠা-সংখ্যা ১৭১। চতুর্থ সংস্করণই বঙ্কিমচন্দ্রের জীবিতকালের শেষ সংস্করণ, ইহা । ১৮৯২ খ্ৰীষ্টাব্দে বাহির হয়, পৃষ্ঠা-সংখ্যা ১৯৬। বর্তমান সংস্করণ এই চতুর্থ সংস্করণ অনুযায়ী মুদ্রিত হইয়াছে। তৃতীয় সংস্করণের একখানি আখ্যাপত্ৰহীন বই দেখিয়াছি, পৃষ্ঠা-সংখ্যা ১৭২। বঙ্গদর্শন হইতে প্রথম সংস্করণ পুস্তকে পরিবর্তন অত্যন্ত বেশী, প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণের পার্থক্যও কম নয়। ঐ দ্বিতীয় ও চতুর্থ সংস্করণেরও কিছু তফাৎ ঘটিয়াছে। আমরা প্রথম ও চতুর্থ সংস্করণের পাঠভেদ দিলাম। পৃ. ৩, পংক্তি ৭, “কৃষ্ণকান্তকে জেঠ মহাশয় বলিতেন।” কথাগুলির পূৰ্ব্বে ছিল— रुरुकाएरुद्र मात्र ७को शूद्र जश्क श्लि, ७ जश्न उकानमा - পৃ. ৮, পংক্তি ৬ হইতে পৃষ্ঠা ১০, তৃতীয় পরিচ্ছেদের শেষ পর্য্যস্ত অংশটুকুর পরিবর্তে झिल • “..কৃষ্ণকাস্তের উইল সম্বন্ধে একটা কথা বলিয়া রাখা ভাল। প্রথম সংস্করণে কয়েকটা গুরুতর দোষ ছিল, দ্বিতীয় সংস্করণে তাহা কতক কতক সংশোধন করা হইয়াছে। পুস্তকের অৰ্দ্ধেকমাত্র সংশোধিত হইয়ামূদ্রিত হইলে আমাকে কিছুদিনের মধ্যে কলিকাতা হইতে অতি দূরে যাইতে হইয়াছিল। অতএব অবশিষ্ট অংশ সংশোধিত না হইয়াই ছাপা হইয়াছিল। তাহাতে প্রথমাংশে ও শেষাংশে কোথাও কিছু :অসঙ্গতি থাকিতে পারে।•••১১ই জ্যৈষ্ঠ [ ১২৯৩ ] বঙ্কিমচন্দ্ৰ শৰ্ম্মণ:”—‘বঙ্কিমচন্দ্র'-লেখক গিরিজাপ্রসন্ন রায়চৌধুরী মহাশয়ের নিকট লিখিত পত্র।