পাতা:কৃষ্ণ-যজুর্ব্বেদীয় তৈত্তিরীয়োপনিষদ প্রথম ভাগ.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ 〉や তৈত্তিরয়োপনিষদ । অক্ষরবিষয়শ্বত্যাবৃত্ত্য মন্ত্রাবৃত্তিঃ স্তাদিতি চেৎ ; ন ; মুখ্যার্থাসম্ভবাং ! “ত্রিঃ প্রথমামম্বাহ fএরুত্তমাম্"ইতি ঋগাবৃত্তি: শ্রয়ন্তে । তত্র ঋচঃ অবিষয়:ে তদ্বিষয়শ্বত্যাবৃত্ত্য মন্ত্রাবৃত্তে চ ক্রিয়মাণায়াং "ত্রি:প্রথম মুম্বাহ ইতি খণ বৃত্তিমুখোহৰ্ষশোদিত পরিত্যক্ত স্তাৎ । তন্মান্মনোবৃত্ত পাধিপরিচ্ছিন্ন মনোবৃত্তিনিষ্ঠুমাত্মচৈতন্তমনাদিনিধনং যজুঃশব্দবাচ্যম আত্মবিজ্ঞানং মন্ত্র। ইতি । ৪ - এবং চ নিন্তত্বেীপপত্তিৰ্ব্বে দানাম। অন্যথাবিষয়ত্বে রূপাদিবদনিত্যত্বং চ স্বাৎ ; নৈতদ্বযুক্তম । “সৰ্ব্বে বেদ যত্রৈকং ভবস্তি, স মানসীন আত্ম৷”ইতি চ শ্রুতির্ণিতাত্মনৈকত্বং ক্রবর্তী ঋগাদীনাং নিতত্বে সমঞ্জস স্থাৎ "চো" ইক্ষরে পরমে প্যোমন যক্ষিন দেবী অধি বিশ্বে নিযেছুঃ”ইতি চ মন্ত্রবর্ণ: আদেশোছত্র ব্রাহ্মণম, আদেষ্টব্যবিশেষানাদিশতীতি । অথৰ্ব্বাঙ্গিরসা চ দৃষ্ট। মন্ত্রা ব্রাহ্মণং চ শাস্তিকপৌষ্টিকাদি প্রতিষ্ঠাঁহেতুকৰ্ম্মপ্রধানত্বাং পুচ্ছং প্রতিষ্ঠা। তদপ্যেষ শ্লোকো ভবতি মনোময়াত্মপ্রকাশকঃ পূদবৎ । ১ ॥ ৩• { ইতি ব্ৰহ্মানন্দবল্লী-তৃতীয়াকুবাকভাষ্যম্ ॥ ৩ ॥ ভাষ্যানুবাদ । প্রাণং দেব। অমু প্রাণস্তি’ ইত্যাদি । অগ্নি প্রভৃতি দেবতাগণ প্রাণনশক্তিসম্পন্ন বায়ুস্বরূপ প্রাণকে লক্ষ্য করিয়া-- প্রাণাত্মভূত হইয়া প্রাণন করে-প্রাণন ক্রিয় করে অর্থাৎ প্রাণের প্রাণন ক্রিয়া দ্বারা ক্রিয়াযুক্ত হয় । অথবা ইহা অধ্যাত্ম-প্রকরণের কথা ; এইজন্য দেব অর্থ ইন্দ্ৰিয়গণ ; স্তাহারা মুখ্য প্রাণের ( পঞ্চবৃত্তি প্রাণের ) অতুগত থাকিয়াই চেষ্টা করিয়! থাকে, এবং যাহারা মনুষ্য ও পশু, তাহাবাও প্রাণের চেষ্টা দ্বারাই ক্রিয়াসম্পন্ন ই হয়! থাকে । অতএব বুঝিতে হইবে যে, প্রাণিগণ যে, কেবল পরিচ্ছিন্ন অন্নময় আত্মা দ্বারাই আত্মবান হয়, তাহা নহে ; তবে কি ? না, সেই অন্নময়ের অন্তঃস্থিত সৰ্ব্বদেহব্যাপী প্রাণময়ের দ্বারাও মকুন্তাগণ আত্মবা হইয়া থাকে। এইরূপ পুৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব কোশের ব্যাপকীভূত আকাশাদি পঞ্চভূতে আরব্ধ মনোময় হই•ে আনন্দময় পৰ্য্যস্ত অবিদ্যাকল্পিত পরবর্তী স্বন্ধ কোশসমূহ দ্বার সমস্ত প্রাণিই আত্মবান হইয় থাকে। এইরূপ সকলেই আকাশাদিরও কাবণভূত এবং পঞ্চকোশেরও অতীত নিত্য নিৰ্ব্বিকার ও সৰ্ব্বাত্মক সত্য জ্ঞান ও অনস্ত ব্ৰহ্ম বস্তু দ্বারাও আত্মবান হষ্টয় থাকে ; কেন না, প্রকৃতপক্ষে সেই সত্য জ্ঞান অনস্ত বস্তুই সৰ্ব্বভূতের আত্মা— ইহাও উক্ত বাক্যের তাৎপৰ্য্যাৰ্থ ॥১