পাতা:কৈকেয়ী - রামদয়াল মজুমদার.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

১৪ কৈকেয়ী। মন্থরার বাক্যে কৈকেয়ীর বদন ক্রোধে আরক্ত হইয়া উঠিল। কৈকেয়ী “ক্রোধেন অলিননা।” কৈকেয়ী ক্রোধে দীর্ঘ উষ্ণনিশ্বাস ত্যাগ করিতে করিতে ক্রোধাগারে প্রবেশ করিল। মন্থরা যাহা বুঝাইল, কৈকেয়ী তাহাই বুঝিল। “অনর্থ মর্থরূপেণ গ্রাহিতা না ততস্তয়া” অনর্থে অর্থ দেখিল। “সা হি বাকেন কুঞ্জায়া কিশােরীবােপথং গতা”। কুজার পরামর্শে কিশােরী নিজের বুদ্ধি ছাড়িল —হইল উৎপথগামিনী।। হায়! আজকালকার দিনে কুজার পরামর্শে কত কিশােরী উৎপগামিনী হইতেছে ! হিপুর সংসার রামশূন্য অবােধ হইয়া পড়িতেছে । জ্যেষ্ঠভ্রাতৃজায় দেবরকে তাড়াইয়া দিতেছেন--ইহাতে কি কুজার অসংসঙ্গ নাই ? দেবর ত একদিন বড় আদরের ছিল—দেবরকে ত বড় ভাল লাগিত। আজ কোন্ কুজার বাক্যে দেবরকে বনবাস দিতেছ ? কত বধূ মাতার কুপরামর্শে স্বামীর সংসার ছারেখারে দিতেছে। কত পুত্র শাশুড়ীর কুমন্ত্রণায় পিতা মাতা ভাই ভগ্নী সকলকে জন্মের মত অসুখী করিতেছে। এ সকলের মূলে অসৎসঙ্গ আছে—কুজার পরামর্শ আছে। কৈ, সহােদর ভ্রাতাও ত মনে ভাবে না—আমি সুখে থাকিব আর আমার সহােদর ক্লেশ পাইবে। ইহাতে ত আমার সুখ হইবে না। পরের কথায় নিজের বহিঃপ্রণকে দূর করিয়া দিয়া কি সুখে থাকা যায়। বে এরূপ অস্বাভাবিক - -