পাতা:কৈকেয়ী - রামদয়াল মজুমদার.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

৩২ কৈকেরী। এই নিদারুণ কথা শুনিয়া ও আমার হৃদয় ত এখনও বিদীর্ণ হইল না। বুঝি আমার মরণ নাই, বুঝি যমও আমায় গ্রহণ করেন না।” রাম ও লক্ষণ। | কৌশল্যার আকুলি-বিকুলি দেখিয়া লক্ষ্মণের ক্রোধ হইল। লক্ষ্মণ পূর্ব হইতেই সঙ্গে ছিলেন। ক্ষৌমবাস পরিধান করিয়া রামজননী যখন রামের বিঘ্ন বিনাশের জন্য দেবতার আরাধনা করিতেছিলেন লক্ষ্মণ তাহাও দেখিছিলেন। যখন “প্রাণায়ামেন পুরুষং ধ্যায়মানা জনার্দন” যখন তিনি প্রাণায়াম দ্বারা পরম পুরুষ জনার্দনের ধ্যান করিতেছিলেন, লক্ষ্মণ তখন ভগবতীর প্রশান্ত মূর্তি দেখিয়া বড়ই আনন্দিত হইয়াছিলেন। আর যখন রামমাতা রাজলক্ষ্মী রামকে আশ্রয় করিবেন শুনিয়া মা জানকীকে নিজের নিকটে আনিয়া সুমিত্রাকে ডাকিয়া আনন্দোৎফুল্ল মুখে গদগদ বচনে সীতাকে কতই শিক্ষা দিতেছিলেন লক্ষ্মণ এই দৃশ্য দেখিয়া আপনাকে ধন্য বিবেচনা করিয়াছিলেন। আর আজ! আজ জলোদ্ভূত পদ্ম হইতে যেমন বারি নির্গত হয় সেইরূপ রােদন পরায়ণ। ভগবতী কৌশল্যাকে দেখিয়া লক্ষ্মণ ক্রোধ সম্বরণ করিতে পারিলেন । কৌশল্যার অকথ্য যাতনা লক্ষ্মণকে আত্মহারা করিতেছে। কৌশল্যা যখন বাৰক বললেন ;