পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায় Syxoዓ প্ৰস্তাবই করিয়াছ ; এই ভাবেই কাজের ব্যবস্থা কর।”—আর যদি সে সময় তাহার মন ভাল না থাকে, তাহা হইলে বলেন, “তোমার রিপোর্ট আমার এডজুটাণ্টের কাছে রাখিয়া যাও। সে তাহা পড়িয়া রিপোর্টের মৰ্ম্ম আমাকে জানাইবে। আমার যাহা মন্তব্য, তাহ পরে জানিতে পরিবে, এখন যাও।” অনন্তর তিনি ট্ৰেণ হইতে নামিয়া তাহার গাড়ীতে উঠিয়া গন্তব্য স্থানে প্ৰস্থান করেন। মন্ত্রী মহাশয় ‘ওয়েটং রুমে’ বসিয়া দুই তিন ঘণ্টা ঝিমাইতে থাকেন; তাহার পর একসপ্রেস ট্ৰেণ আসিলে, সেই ট্ৰেণে তিনি গৃহে প্ৰত্যাগমন করেন । কৈসারের আরও একটি অদ্ভুত খেয়াল, তিনি কোন কোন দিন রাত্রি নয়টার সময় তাহার কোনও মন্ত্রীকে জ্ঞাপন করেন, আধা ঘণ্টা পরে DBBD DDB BDDDB BDB DB DBBDBS DDDBD BDDBDB BB DDBBDB সঙ্গে আহার করিবার জন্য নিমন্ত্রিত হইয়াছে -তখন সেই মন্ত্রী বেচারাকে কিরূপ বিপন্ন হইতে হয়, পাঠক পাঠিকাগণ তাহা অনুমান করুন | কৈসার অনেক সময় নুতন পরিচ্ছদে সজ্জিত হইয়া প্ৰচ্ছন্ন বেশে একখানি এক ঘোড়ার গাড়ীতে রাজপথে বিচরণ করেন। এক দিন মহিষীর অন্যতম ‘বডিগার্ড” কাউণ্ট জেসলার পথিমধ্যে তাঁহাকে চিনিতে না পারায়, তাহাকে অভিবাদন না করিয়া চলিয়া যান ; এই অপরাধে সম্রাট তাঁহাকে তিন দিনের জন্য “সসপেণ্ড” করেন। কৈসার মহিষীকে কথা প্রসঙ্গে এ কথা জানাইলেন ; মহিষী সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিলেন, কোন জেসলার ? আমার বডিগার্ড জেন্সলার কি ?” কৈসার বলিলেন, “হা, সে-ই। আমি গাড়ীতে চড়িয়া বেড়াইতে ছিলাম, সে আমাকে অভিবাদন না করিয়াই চলিয়া গেল!”