পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

सछे उर्थांश У\OR). কিন্তু যদি কোনও সৈন্য ছদ্মবেশেও কৈসারকে চিনিতে পারে, ও । রাজভক্তির পরাকাষ্ঠা প্ৰদৰ্শন করে, তাহা হইলে রণ-দেবতা প্ৰসন্ন হইয়া তাহাকে আশাতীত বর দান করেন।--মোর (Mohr) নামক একজন সাধারণ সৈন্য অত্যন্ত তীক্ষ দৃষ্টি-সম্পন্ন ছিল ; সে অন্ধকারের ভিতরেও দেখিতে পাইত ! শীতকালে এক দিন সন্ধ্যার সময় কৈসার বার্লিনের রাজপথে ভ্রমণ করিতেছিলেন ; মাের কয়েক গজ দূর হইতে কৈসারকে দেখিয়াই চিনিতে পারে। সে তৎক্ষণাৎ তঁাহার সম্মুখে অগ্রসর হইয়া মিলিটারী কেতায় তাহাকে অভিবাদন করিল। কৈসার তাহার রাজভক্তি সন্দর্শনে বিগলিত চিত্তে বলিলেন, “তুমি কে, বৎস!” মোর বলিল, “এ নফর সম্রাটের প্রথম-গার্ড সৈন্যদলের একজন সামান্য সেনানী।” কৈসার বলিলেন, “সামান্য সেনানী ! আমার বোধ হয় তোমার একটি প্ৰণয়িনী আছে।” মোর পুনর্বার কুর্ণিস করিয়া লজ্জাবনত মুখে অস্ফুট স্বরে বলিল, “সম্রাট নফরের বেদাদপি মাৰ্জনা করিবেন, ফীল বেবেলের কন্যা কৈসার বাধা দিয়া বলিলেন, “তবে তুমি ঘরে যাও । তোমার ভাবী শ্বশুরকে ও তোমার প্রণয়িনীকে জানাও, তুমি সম্রাটের সার্জেন হইয়াছ - কদম কদম যাও।” মোর আনন্দাপ্নত হৃদয়ে কৈসারকে পুনর্বার অভিবাদন করিয়া বলিল, “হাজার হাজার ধন্যবাদ! ভগবান সম্রাটকে রক্ষা করুন।”-অনন্তর সে “কদম” কদম চলিয়া সম্রাটের দৃষ্টির অন্তরালে প্ৰস্থান করিল। রাজভক্তি-হীনতার পরিচয় পাইলে সম্রাট অতি কঠোর দণ্ড দান করেন। জৰ্ম্মান সাম্রাজ্যে কোন কাৰ্য্যে যে রাজভক্তির অভাব না।